ইন্টারভিউ প্রশ্ন ও উত্তর। ইন্টারভিউ টিপস।

পোস্টটি শেয়ার করুন

ইন্টারভিউ প্রশ্ন ও উত্তর। ইন্টারভিউ টিপস।

আপনি এই পোস্টটি থেকে ইন্টারভিউ প্রশ্ন ও উত্তর এবং ইন্টারভিউ টিপস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন ইন্টারভিউ সম্পর্কে আপনি অনেক কিছু জানতে পারবেন।

ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার আগে আমাদের অনেক চিন্তা হয়। চিন্তা দূর করার জন্য আমরা অনলাইনে বিভিন্ন প্রশ্নের সার্চ করতে থাকি।

প্রশ্নগুলি হলো যেমন –  ইন্টারভিউ দেওয়ার নিয়ম, ইন্টারভিউ তে বসার নিয়ম, ইন্টারভিউতে নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন প্রশ্নটির উত্তর কিভাবে দিব ইত্যাদি ।

তাই আমি আপনাদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর নিয়ে এই পোস্টটি নিয়ে এসেছি।

আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। 

ইন্টারভিউ টিপস

আপনি হয়ত পড়াশোনায় খুব ভালো কিন্তু বাস্তব জ্ঞান কম। নতুন প্রার্থীর পক্ষে বাস্তব জ্ঞান থাকা আপাতদৃষ্টিতে মুশকিল মনে হলেও , অসম্ভব নয়।

ইন্টারনেটের যুগে আপনি যে কাজ করতে চান এবং যেখানে কাজ করতে যাচ্ছেন দুটি বিষয়ই আপনার জানার আওতায় পড়ে। ফলে যতটা পারেন যেনে ইন্টারভিউ দিতে যান।

একেবারে নতুন প্রার্থী হলেও তার মধ্যে কাজের প্রাথমিক জ্ঞান থাকা চাই। 

প্রার্থীর মধ্যে কাজ সম্পর্কে সিরিয়াসনেস না খুঁজে পেলে কোনও ভাবেই তাকে গুরুত্ব দেবেন না ইন্টারভিউয়াররা।

ইন্টারভিউয়ে প্রায়শই একটা সাধারণ প্রশ্ন করা হয়।

ইন্টারভিউ প্রশ্ন ও উত্তর – প্রথম প্রশ্নটি হল : ‘ নিজের সম্পর্কে বলো ‘ ।

এই প্রশ্নটির উত্তর সবাই একেবারে রপ্ত করে আসে।

কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তারা এমন সব ব্যক্তিগত কথা বলে , যার সঙ্গে কাজের কোনও যোগাযোগ নেই। 

অতএব প্রশ্নটির উত্তর যখন তৈরি করবেন , তখন কয়েকটি পয়েন্টের দিকে খেয়াল রেখে প্রস্তুত হবেন।

আরও পড়ুন ক্লিক করে – পৃথিবীর আশ্চর্য বালক 

ইন্টারভিউতে নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন প্রশ্নটির উত্তর কিভাবে দিব

নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রথম তিনটি মূল বিষয় হবে। 

১. আপনি কে ২. আপনি কোথায় থাকেন ৩. আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা। 

এরপরে একে একে আসবেন ৪. কী করতে চান বা হতে চান ৫. আপনার মধ্যে পজিটিভ গুণ কী কী আছে ৬. এই সংস্থায় কাজ করার সুযোগ পেলে নতুন কী করতে পারবেন, যাতে সংস্হার আরও উন্নতি হয় ।

ভাইভাতে ভালো করার উপায়

বাস্তবে এই কয়েকটি বিষয় যদি একটিই প্রশ্নের মধ্যে তুলে ধরতে পারেন, তাহলে দেখবেন বাকি প্রশ্নের চাপ আপনিই কমে আসবে।

ইন্টারভিউয়ার তখনই বিরক্ত হন , যখন দেখেন যে প্রার্থী কী বলছে ,কেন বলছে তা নিজেও জানে না। তাই প্রাসঙ্গিকতা বজায় রেখে কথা বলতে হবে।

মনে করা হয়, আপনি নিজে যত শৃঙ্খলা পরায়ণ হবে ততই ভালো পরিষেবা দিতে পারবেন। কাউকে দেখেই যদি মনে হয় সে ব্যক্তিগত জীবনে বিশৃঙ্খল, ইন্টারভিউয়ার ধরেই নেবেন তার পক্ষে সংস্থাকে ১০০ শতাংশ দেওয়া সম্ভব নয়। 

এই শৃঙ্খলাবোধ বোঝা যাবে, আপনার পোশাক, দৈহিক ভাষা ও ব্যবহার দেখে । 

ফ্রেশারদের যাচাই করা সময় এই কয়েকটি বিষয় ঠিক আছে কিনা দেখা হয় । বাকি শিখিয়ে – পড়িয়ে নেওয়ার দায়িত্ব সংস্হার।

অনেক সময় তিন মাসের বা ছয় মাসের ট্রেনিং থাকে। তারপর স্থির হয় সংস্হা আপনাকে নিয়োগ করবে কিনা। 

এই সময়টা চাকরি পাওয়ার আগের পর্যায় এবং খুব গুরুত্বপূর্ণ।

ধৈর্য ধরে, মন দিয়ে নিজের কাজটা করতে হবে।

অনেক সময় রোজকার কাজ একঘেয়ে লাগে, কিন্তু করতে হয়।

কারণ কাজটা ঠিকভাবে এগোলে, আপনারও অগ্রগতির সুযোগ আসবে। বোঝা যাবে কাজটার জন্য এবং সংস্হার জন্য আপনি উপযুক্ত কিনা।

আরও পড়ুন – ভারতের জাতীয় পতাকা সম্পর্কে তথ্যাবলী 

প্রয়োগমূলক জ্ঞান বেশি জরুরি

ধরা যাক, কোনওসংস্হা একজন গ্রাফিক ডিজাইনার চাইছে। শুধুই স্টেশনারি প্রোডাক্টের নকশা বানানোর কাজ। 

যারা ইন্টারভিউ দিতে আসছে, জানতে চাইলে বলছে, এই নিয়ে কলেজে পড়েছে। ব্যস এটুকুই। ইন্টারভিউয়ারর কিন্তু শুধু এটুকুই জানতে চাননি।

আগে আপনাকে বুঝতে হবে যে কী চাওয়া হচ্ছে আপনার কাছে। তার প্রেক্ষিতে আপনায় বলতে হবে আপনি প্রয়োগমূলকভাবে কী‌ দিতে পারবেন।

ফলে আপনাকে বলতে হবে কী কী এরিয়া কভার করে এই ডিজাইন বানাবেন। 

ধরা যাক, একটা পেন্সিলের প্যাকেট ডিজাইন করতে হবে। সেখানে পেন্সিলের ছবি থাকবে, না বাচ্চাদের ছবি থাকবে তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে হবে। 

 আপনি যা জানেন, তাই নিয়ে কী ভাবছেন এবং কী করতে পারবেন, সেটাই বোঝাতে হবে ইন্টারভিউয়ারকে।

জানার ইচ্ছা প্রকাশ করা

অনেক ছেলেমেয়েকেই দেখা যায় কী কাজ করতে হবে না জেনেই ইন্টারভিউ দিতে চলে এসেছে। 

যদিও ফ্রেশারদের ক্ষেত্রে অনেক কিছু ছাড় থাকে। ফলে ইন্টারভিউয়ার আশা করেন যে, না জানলেও অন্তত জানার ইচ্ছা থাকবে।

কিন্তু যখন ইন্টারভিউয়াররা দেখেন যে, তাদের কাছেও জানতে চাইছে না, তখন আর কিছু করার থাকে না।

যে কাজ নিয়ে কোনও আগ্রহ দেখাচ্ছে না, কাজ নিয়ে যায় কোনও প্রশ্ন নেই, তার সঙ্গে কথোপকথন একটা জায়গায় গিয়ে বন্ধ হয়ে যেতে বাধ্য।

সহজ কথোপকথনের উপায়

অনেক ইন্টারভিউয়ারের মধ্যেই একটা ইগো কাজ করে। যদি সেই ইগোকে ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে কথার গতি সহজ হবে ।

ধরা যাক, কথা শুরু করার একটু পরে খেয়াল করলেন ইন্টারভিউয়ার আপনার উওরে সন্তুষ্ট হচ্ছেন না। তখন হয়তো আপনি কথা প্রসঙ্গে অফিস ডেকরেশনের প্রশংসা করলেন। 

উনি খুশি হয়ে দু – এক কথা বললেন। ফলে ছন্দ ফিরে পেয়ে ইণ্টারভিউ এগোতে থাকল। আপনিও একটু সুযোগ পেলেন‌ পরিস্হিতি সামলে নেওয়ার।

বাড়তি যোগ্যতা

যোগ্যতা বাড়ানোর জন্য ছোট কোনও কোর্স করে নিতে পারেন অবসরে বা পড়তে পড়তেই। এছাড়াও যে কোনও কাজ করতে পারেন।

তাতেও লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা এবং অভিজ্ঞতা বাড়ে। কিছু ছোট কাজই ইন্টারভিউয়ের সময় বাড়তি যোগ্যতা হিসাবে গণ্য করা হতে পারে।

নিজস্ব গুণ

ধরা যাক, কোনও কিছুই করা হল না আপনার। না হল কোর্স, না জোগাড় হল কোনও কাজ। এখনও আপনার হাতে যেটা রয়েছে তার হল নিজস্ব গুণাগুণ। 

আপনার উপস্থিত বুদ্ধি, নিজেকে বোঝানোর ক্ষমতা, কমিউনিকেশনের দক্ষতা আপনাকে অন্যের থেকে যোগ্যতর করবে।

ইংরেজি নয়, নিজের ভাষাতেই আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। তাহলেই আপনি নিজেকে ঠিকভাবে উপস্হাপন করতে পারবেন। আর একটা বড় গুণ উপস্থিত বুদ্ধি।

ধরা যাক, ইন্টারভিউয়ার আপনাকে একটি জলের বোতল দিয়ে বললেন, সেটা বিক্রি করতে হবে গ্রামে গিয়ে। 

পরমুহূর্তেই ইন্টারভিউয়ারই ক্রেতার ভূমিকায় চলে এলেন। আপনায় বললেন আপনার বাড়িতে কুয়া আছে , বাড়ির পাশে টিউবওয়েল আছে।  তাহলে এই বোতলের জল নেব কেন। 

এইখানেই দেখা হবে আপনার উপস্থিত বুদ্ধির জোর। যত সহজে ও যত কম সময়ে আপনি বোতলের জল কেনার জন্য যুক্তি খাড়া করে তাকে বোঝাতে পারবেন, তত নম্বর বাড়বে।

চাহিদা বুঝে যোগ্যতা তৈরি

কাজের বাজারে চাকরির কিন্তু অভাব নেই। তাই নিজেকে একটু যোগ্য করে নিতে পারলে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে যথেষ্ট। 

কেবল খেয়াল রাখুন কোন ধরনের কাজে কর্মীর চাহিদা সেই মুহূর্তে বেশি। সেটা জেনে নিজেকে সে ধরনের কাজের জন্য প্রস্তুত করে তুলুন।

ভাইভা প্রশ্ন ও উত্তর

ইন্টারভিউ প্রশ্ন ও উত্তর -সাধারণ চলতি প্রশ্ন ছাড়াও অন্যরকম প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় ইন্টারভিউ বোর্ডে।

এইসব অজানা প্রশ্নের জন্য আলাদা করে প্রস্তুতি নেওয়া যায় না। এর জন্য নিজেকে ভালো ভাবে জানা দরকার।

নিজের ইচ্ছে – অনিচ্ছে, ভালো – মন্দের যাবতীয় বিশ্লেষণ করে রাখলে সুবিধা হবে বুদ্ধি খাটিয়ে উওর দেওয়ার সময়। এই ধরনের প্রশ্ন পরিচিত না হলেও জটিল হয় না খুব একটা। যেমন –

১। বন্ধুরা আপনার সম্পর্কে কী বলে?

২। আপনি কীসে ভয় পান?

৩। আপনার কীসে রাগ হয়?

৪। ছুটিতে বা নাইট শিফটে কাজ সম্পর্কে আপনার মতামত কী?

৫। তিন বা পাঁচ বছর পরে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?

৬। আপনার কোনও সৃজনশীল কাজের উদাহরণ দিন?

৭। আপনার কোনও সৃজনশীল কাজের উদাহরণ দিন?  আপনার সারাদিনের রুটিন কী?

সমস্ত ধরনের ইন্টারভিউ কীভাবে তৈরি হবেন  

১। বেসিক কম্পিউটার কোর্স করে রাখতে পারলে খুব ভালো। এর মধ্যে মাইক্রোসফট অফিস, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, ওয়ার্ড থাকবে।

এখন এই জ্ঞানকে একেবারেই প্রাথমিক এবং আবশ্যিক পর্যায় রাখা হয়। তার সঙ্গে এমন ছোটখাট কোর্স করে রাখতে পারেন যেটা আপনার কাজে সাহায্য করবে।

২। নিজের পড়াশোনার বিষয়ে মন দিন। তার বাইরেও পৃথিবীর কোথায় কী ঘটছে, আপনার নিজের বিষয়রেই কোথায় কী নতুন উন্নতি হচ্ছে ইত্যাদি সাম্প্রতিক যাবতীয় তথ্য যেন আপনার কাছে থাকে।

৩। ইংরেজিতে কথা বলতে পারা এবং বুঝতে পারার দক্ষতা বাড়ানো খুবই দরকারি। তার জন্য নিয়মিত ইংরেজি খবরের কাগজ, ম্যাগাজিন পড়তে থাকুন। 

সম্ভব হলে একটা স্পোকেন ইংলিশ কোর্স করে নিতে পারেন। খবরের কাগজ পড়লে আপনার সাধারণ জ্ঞানের ভান্ডার টিও বাড়বে।

৪। আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলুন। আত্মবিশ্বাস আর ঔদ্ধত্য কিংবা প্রতিযোগিতায় ঠিক উতরে যাবো – এই ধরনের ভ্রান্ত ভাবনা কিন্তু আলাদা। আত্মবিশ্বাস মনের ব্যাপার। 

 আপনার পড়াশোনা এবং প্রস্তুতি আপনার মনের জোর তৈরি করে। তার ফুটে ওঠে আপনার আচরণে। একইসঙ্গে কথাবার্তা চালানোর দক্ষতা টাও বাড়াতে হবে। কমিউনিকেশন স্কিল সবক্ষেত্রেই কাজে লাগবে।

৫। এছাড়া যে – কেরিয়ারের দিকে আপনার ঝোঁক, সেটির সম্পর্কে ইণ্টারনেটে খোঁজ খবর নিন। কী কাজ, কীভাবে হয়, বোঝার চেষ্টা করুন। পরিচিত লোকজন, যাঁরা এই পেশাতেই রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলুন। 

 আর একটা কথা, মানসিকভাবেও তৈরি থাকতে হবে নিজের কমফর্ট জোনের বাইরে কাজ করার জন্য। নির্দিষ্ট রুটিন মেনে ছুটি, অফিস টাইম, শিডিউলড কাজ, বেসরকারি তো বটেই, অনেক সরকারি চাকরিতে ও হয় না।

প্রস্তুতির জন্য বন্ধুবান্ধব বা চাকরি করছে এরকম কেউ চেনা থাকলে তাদের সঙ্গে মক ইন্টারভিউ প্রাকটিস করতে পারেন।

তাহলে কীভাবে কথা বলবেন, নিজের চিন্তাভাবনা কীভাবে উপস্হাপন করবেন বুঝতে পারবেন।

ইন্টারভিউ দেওয়ার নিয়ম

ইন্টারভিউ বোর্ডে কিভাবে কথা বলবেন

প্রথমত

প্রশ্ন শুনুন মন দিয়ে। প্রশ্নের মানে অর্থাৎ ইন্টারভিউয়ার কী জানতে চাইছেন আপনার থেকে, তার নিহিতার্থ বুঝে নিন।

দ্বিতীয়ত

উওর দিন পরিস্কার উচ্চারণে এবং ততটাই জোরে যাতে প্রশ্নকর্তারা সবাই স্পষ্ট শুনতে পান।

তৃতীয়ত

বোর্ডে একাধিক ইন্টারভিউয়ার থাকতে পারেন। প্রশ্ন যার কাছ থেকেই আসুক না কেন, উওর দেওয়ার সময় প্রত্যেকের দিকে তাকিয়ে উত্তর দিতে হবে। এর কারণ হল শুধু একজনের দিকে তাকিয়ে উত্তর দিলে বাকিরা কর্পোরেট সাইকোলজি অনুযায়ী ভাববেন, তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না কিংবা ছেলে বা মেয়েটি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী নয়, ইন্টারভিউয়ের আদব কায়দা জানে না।

চতুর্থ

নিজের সত্যতা ও নীতিবোধ যথাসম্ভব উওরের মধ্য দিয়েই বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন।

পঞ্চম

কোনও সামাজিক বা রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে মতামত দেওয়ার সময় নিরপেক্ষ থাকবেন, কিন্তু নীতিগতভাবে নিজস্ব যুক্তিতে স্হির থাকবেন।

ষষ্ঠ 

কোনও একজন ইন্টারভিউয়ার প্রশ্ন করেছেন, আপনি তাঁর উওর দিচ্ছেন। কিন্তু আপনার কথা শেষ হওয়ার আগেই অন্য একজন কিছু জানতে চাইলেন। তখন প্রার্থী ধন্দে পড়ে যায়।, ভাবে এবার কী করবে। 

এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে পেশাদার পদ্ধতি হল, ইন্টারভিউয়ারকে বলা যে, ” স্যার , আপনার প্রশ্নের উওরও আমি দেব “। 

তারপর তিনি আগে প্রশ্ন করেছিলেন তাঁর দিকে তাকিয়ে জানতে চাও যে, ‘আমি কি আপনার প্রশ্নের উওরটাই সম্পূর্ণ করব, না ওনার প্রশ্নের জবাব দেব’। 

প্রথম প্রশ্নকর্তা যদি বলেন, অন্য জনের উওর দিতে পারো, তাহলে আপনার কোনও সমস্যাই  রইল না।

কিন্তু তা না করে যদি নিজের উওর মাঝ পথে থামিয়ে, অন্য প্রশ্নের উত্তর দিতে শুরু করেন, তাহলে কিন্তু নম্বর কমবে।

আসলে, এইভাবে প্রশ্ন করাও কারণ থাকে।

ধরা যাক, কাস্টমার কেয়ারের কাজ। সেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্রেতা একটা প্রশ্ন করতে না করতেই অন্য জন আর একটা প্রশ্ন করেন ।

তখন সেই পরিস্হিতি সামলাতে পারবে কিনা তাও বোঝা যায় এই ধরনের প্রশ্নের মাধ্যমে।


আরও পড়ুন – কম্পিউটার সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান। 

আরও পড়ুন – অর্থনৈতিক কোড সুমুহ। 

কাউকে বাদ দেওয়ার জন্য ইন্টারভিউতে ডাকা হয় না। পাশের জন কোনও অংশে আপনার থেকে ভালো বলেই আপনি বাদ পড়লেন।

তাই ব্যর্থ হলে, মন খারাপ করে বসে থাকলে আপনারই ক্ষতি। বরং সেই খামতি মেরামতির দিকে মন দিলে হতাশা গ্রাস করবে না।

ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য উপরের সমস্ত পয়েন্টের দিকে খেয়াল রেখে নিজেকে তৈরি করুন। আশা করি আপনিও একদিন ইন্টারভিউয়ে সফল হবেন।

আশা করি ইন্টারভিউ প্রশ্ন ও উত্তর এবং ইন্টারভিউ টিপস এর পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে। 

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য।

পোস্টটি ভালো লাগলে বন্ধু – বান্ধবের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না


পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Comment