পৃথিবীর আশ্চর্য বালক, অবাক করা বিষয়, অবাক করা কিছু কথা, পৃথিবীর আবাক করা বালক।
পৃথিবীর আশ্চর্য বালক – বয়স মাত্র ৯ বছর। এই বয়সেই সে স্নাতক হতে চলেছে। ডিসেম্বরে ফাইনাল পরীক্ষা। তিনবছরের স্নাতক স্তরের সিলেবাস শেষ করতে সময় লেগেছে মাত্র ৯ মাস।
মাত্র ৮ বছর বয়সে সেকেন্ডারি বা মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয় এই বিস্ময় বালক।
ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে আগামী মাসে থার্ড ইয়ার পরীক্ষা দেবে খুদে জিনিয়াস লরেন্ট সিমন্স।
সবথেকে উল্লেখযোগ্য হল ইঞ্জিনিয়ারিং এর পাশাপাশি মেডিক্যাল নিয়েও পড়াশোনা করেছে সে।
ইতিমধ্যেই তাকে ইউরোপের বিস্ময় বালক উপাধি দিয়েছে বেলজিয়ামের ইন্দহোভেন ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি।
অনেকেই অ্যালবার্ট আইনস্টাইন এবং স্টিভেন হকিংয়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন তাঁকে। অনেকে আবার এই দুই কিংবদন্তি বিজ্ঞানীর থেকেও মেধাবী বলে অভিহিত করেছেন।
ইংরেজি সহ ৪ টি ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারে সিমন্স।
তার বাবা আলেকজান্ডার সিমন্স পেশায় দন্তবিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। সিএনএনকে সাক্ষাৎ কারে তিনি জানিয়েছেন, স্নাতক হওয়ার পর পিএইচডি করতে চায় সিমন্স।
ডিসেম্বরে স্নাতক স্তরের ফাইনাল ইয়ার কমপ্লিট হয়ে সসম্মানে উত্তীর্ণ হলে বেলজিয়ামের সবথেকে কনিষ্ঠতম গ্র্যাজুয়েট হিসেবে স্বীকৃতি পাবে সে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল আমেরিকার আলাবামা ইউনিভার্সিটির ছাত্র মিশেল কারনির। ১০ বছর বয়সে সে গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করেছিল।
আরও পড়ুন – ১৫০০ বছরেও সতেজ সাহাবী বৃক্ষ
এ দিকে সিমন্স এর ইচ্ছে হল, ভবিষ্যতে মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করা।
উল্লেখ্য, বেলজিয়াম বংশোদ্ভূত সিমন্স পরিবার নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে বসবাস করেন। তাই লরেন্ট যা কিছু রেকর্ড করবে একইসঙ্গে দুই দেশের মুখ উজ্জ্বল হবে বলে গর্ববোধ করেন তার বাবা।
তার আইকিউ লেভেল টেস্ট করে দেখা গিয়েছে ১৪৫।
আরও পড়ুন – বিশ্বের আশ্চর্য খবর
তার মা লিদিয়া সিমন্স বলেন, শৈশব থেকেই তার ব্যতিক্রমী প্রতিভা ও মেধার পরিচয় পাওয়া যায়। বরাবরই ওর স্মৃতিশক্তি ভীষণ প্রখর।
এখন তার ইনস্টাগ্রামে ১১ হাজারেও বেশি ফলোয়ার আছে বলেও জানান তার মা।
আশা করি এই পোস্টটি পড়ে আপনার খুব ভালো লেগেছে।
ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।