বদহজমের কারণ ও প্রতিকার|বদহজম দূর করার ঘরোয়া উপায়|
আপনি কি বদহজমের কারণ ও প্রতিকার , বদহজম দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান ।
যদি তাই হয়, আপনি সঠিক পোস্টে এসেছেন।
এই পোস্টটি আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর নিয়ে লিখলাম।
আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।
পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে পড়ে সমস্ত কিছু জেনে নিন
রোগের বিবরণ
খাদ্যবস্তু পাকস্থলীতে পুরোপুরি পাচিত না হয়ে তা ক্ষুদ্রান্ত্রে চলে আসে এবং সেখানেও পাচন বা শোষণ কিছুই না ঘটে মলের মাধ্যমে অপাচিত এবং অশোষিত খাদ্য নির্গমন হয়ে যাওয়া এবং তার সঙ্গে পৌষ্টিক তন্ত্রের বিভিন্ন গোলমাল ও অস্বস্তিকর সৃষ্টি হওয়াকে অজীর্ণ বা বদহজম রোগ বলা হয়।
আক্রান্ত তন্ত্র
পৌষ্টিকতন্ত্র এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়।
আক্রমণের বয়স
বয়স্কদের বিশেষতঃ বৃদ্ধদের এই রোগ বেশি হয়, তবে শিশুদের মধ্যেও এই রোগ মাঝে মাঝে হতে দেখা যায়। কিন্তু বর্তমানকালে সব বয়সের মানুষের মধ্যেই এই রোগ দেখা যাচ্ছে।
আক্রান্ত লিঙ্গ
পুরুষদের চেয়ে মহিলারাই এই রোগে অধিক আক্রান্ত হয়। তবে বর্তমানে পুরুষ রাও এই রোগে আধিক আক্রান্ত হচ্ছে।
আরও পড়ুন – ডায়াবেটিস থেকে বাঁচার উপায়
বদহজমের কারণ
১। অন্ত্র ও পাকস্থলীর বিভিন্ন রসক্ষরণ ঠিকমত না হওয়া।
২। খাদ্য ভালোভাবে চিবিয়ে না খাওয়া।
৩। অনিয়মিত খাবার খাওয়া।
৪। প্রোটিন ও ফ্যাট জাতীয় খাবার খুব বেশি খাওয়া।
৫। শরীরে ভিটামিন বি – কমপ্লেক্স এর অভাব।
৬। লিভারের গণ্ডগোল প্রভৃতি কারণে এই রোগ হয়।
বদহজমের লক্ষণ
১। খাবার খাওয়ার কিছুক্ষন পরেই পেট ফাঁপা দেখা যায়। এবং তার কিছুক্ষণ পরেই পেট হড়বড় করে।
২। পায়খানার বেগ আসে। পায়খানা পাতলা হয়।
৩। পেটে বায়ু সঞ্চয় এবং ব্যাথা হয়।
৪। গা বমি ভাব, মুখে জল ওঠা, এমনকি চোঁয়া ঢেকুরও উঠতে পারে।
৫। পেট সবসময় ভুটভাট করে এবং খাবার খাওয়ার কিছুক্ষন পরেই পায়খানা যাওয়া।
৬। অনেক রোগীর এই রোগ একটানা চলতে থাকে, অনেকের আবার ভালো হয়ে থেকে বের হয়। বিশেষতঃ বৃদ্ধদের ও শয্যাশায়ী রোগীদের এমন হতে দেখা যায়।
৭। ক্ষুধামন্দা হতে দেখা যায়।
৮। অপুষ্টি ও অ্যানিমিয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায়।
বদহজম দূর করার ঘরোয়া উপায়
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা –
১। সরু চালের সুসিদ্ধ ভাত খেতে হবে। যাদের সরু চাল খাওয়ার ক্ষমতা নেই তারা যেন ভাতটা সুসিদ্ধ খায়।
২। বদহজম রোগ হলে কাঁচা কলা, পেঁপে, ডুমুর প্রভৃতির ঝোল খেতে হবে। কারণ কাঁচা কলা, পেঁপে, ডুমুর প্রভৃতির ঝোল হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
৩। কাঁচা পেঁপে খাওয়া চলবে।
৪। মাছ, মাংস, ডিম, বাদাম, ছোলা, মটর, ময়দা, তেল, ঘি, শাকসবজি, মশলাদার অন্যান্য খাবার প্রভৃতি বর্জন করতে হবে।
৫। বদহজম রোগ থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খেতে হবে।
৬। বদহজম রোগ থেকে রক্ষা পেতে হলে রাত্রি জাগরণ করা যাবে না।
৭। বদহজম রোগ থেকে বাঁচতে হলে অধিক পরিশ্রম বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন – পেট ফাঁপা থেকে মুক্তির উপায়।
আরও পড়ুন – বমি বমি ভাব হলে কি করব।
আমি এই পোস্টটিতে বদহজমের কারণ ও প্রতিকার , বদহজম দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই পোস্টটি পড়ার জন্য।
সবার উপকারের জন্য পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না