সাহাবী বৃক্ষ, পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন গাছ।
সাহাবী বৃক্ষ, পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন গাছ , পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন জীবিত গাছ কোনটি।
আপনি কি সাহাবী বৃক্ষ, পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন গাছ , পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন জীবিত গাছ কোনটি সম্পর্কে জানতে চান।
যদি জানতে চান , তাহলে আপনি সঠিক পোস্টে এসে পৌঁছেছেন।
এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়ুন।
সাহাবী বৃক্ষ – একটি গাছ। যার বয়স আনুমানিক দেড় হাজার বছর। ইসলামী ঐতিহ্যবাহী এই গাছটির নাম ‘ সাহাবী বৃক্ষ ‘।
ইংরেজিতে বলা হয় ‘ দ্য ব্রেসড ট্রি ‘।
অনেকের মতে, সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন গাছ এটি।
অর্থাৎ বর্তমান বিশ্বে এত বয়স্ক গাছ কোনো দেশে নেই।
সাহাবী গাছ
মহানবী সাঃ – এর স্মৃতিবিজড়িত এই গাছটি এখনও জীবিত রয়েছে জর্ডনের উওর দিকের মরুভূমিতে।
আশ্চর্যের বিষয় হল, ধূ – ধূ মরুভূমি অঞ্চলে ১৫০০ বছর ধরে দণ্ডায়মান এই এর আশেপাশের শতাধিক বর্গকিমি এলাকায় আর কোনো গাছ নেই।
সাহাবী গাছের ইতিহাস
কথিত আছে, বাল্যকালে চাচা আবু তালিবের হাত ধরে জর্ডনের এই উত্তপ্ত বালুময় মরুপথ ধরেই মক্কা থেকে পদব্রজে সিরিয়া পাড়ি দিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মহম্মদ সাঃ।
প্রখর রোদে মরুভূমির বালি প্রচণ্ড গরম হয়ে যাওয়ায় ৮ – ১০ বছরের বালক মহম্মদ সাঃ – এর পক্ষে একটানা হাঁটা সম্ভব ছিল না। তাই চাচা – ভাইপো এই শুকনো গাছের ছায়ায় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন।
তখনই আল্লাহর নির্দেশে শুকনো পাতাঝড়া মৃতপ্রায় গাছটি এক লহমায় সবুজ হয়ে উঠে। বইতে শুরু করে মৃদুমন্দ বাতাস।
মহানবী সাঃ ও তাঁর চাচা বৃক্ষতলে বসে থাকাকালে দূর থেকে এই মোযেজা প্রত্যক্ষ করেন এক খ্রিস্টান পাদরি। জর্ডনের রাজধানী আম্মান থেকে ঘণ্টা দুয়েকের পথ পেরোলে এই গাছ দেড় হাজার বছর ধরে পৃথিবীর বহু উত্থান পতনের সাক্ষী। কিন্তু শুকিয়ে যাওয়া গাছটির ডালপালা কীভাবে চোখের নিমেষে সবুজ পাতায় ঢেকে গেল, এ প্রশ্ন তাঁকে কৌতুহলী করে তোলে।
পায়ে পায়ে এগিয়ে যান গাছতলায়।
চাচা আবু তালিবকে তিনি জিজ্ঞেস করেন, সঙ্গে থাকার শিশুটির নাম কী? তার পিতা মাতার পরিচয়ও সম্পর্কে জানতে চান।
জানার পর পাদরি জার্জিস বাহিরা বলেন, আমি নিশ্চিত যে এই বাচ্চাই সেই শেষ পয়গম্বর হযরত মহম্মদ সাঃ। যাঁর বর্ণনা সম্পর্কে পবিত্র বাইবেলে আমি পড়েছি।
আবু তালিবকে তিনি পরামর্শ দেন, ভবিষ্যতের নবী এই বালককে আগলে রাখবেন। ওকে কোনও দিন দুঃখ বা কষ্ট দেবেন না।
ইতিহাসের বিবরণ থেকে জানা যায়, মার্চ মাসের এক দুপুরে এখান দিয়ে যাচ্ছিলেন বালক মহম্মদ সাঃ ও তাঁর চাচা।
জানা যায়, এখান থেকে চলে যাওয়ার আগে গাছটির জন্য দোয়া করেছিলেন মহম্মদ সাঃ।
গাছটি দেখতে এখনও প্রচুর দেশি বিদেশি পর্যটক সেখানে ভিড় করেন।
তাই জর্ডান সরকার গাছটিকে দূর থেকে ধাতব বেড়া দিয়ে ঘিরে দিয়েছে।
বিস্তীর্ণ মরুভূমির মাঝে যেন এই একটি মাত্র গাছ মরূদ্যান হয়ে রয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ও গাছটির কোনো ক্ষতি করতে পারেনি।
আরও পড়ুন ক্লিক করে –
আমি এই পোস্টটিতে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম – সাহাবী বৃক্ষ, পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন গাছ , পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন জীবিত গাছ কোনটি ইত্যাদি।
আশা করি পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন গাছ সম্পর্কে জেনে আপনার খুব ভালো লেগেছে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই পোস্টটি পড়ার জন্য।
সাহাবী বৃক্ষ সম্পর্কে অন্যদের জানাতে এই পোস্টটিকে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।