আকবরের রাজস্ব ব্যবস্থা

পোস্টটি শেয়ার করুন

আপনি কি অনলাইনে আকবরের রাজস্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইছেন,

যদি তাই হয়, 

আপনি সঠিক পোস্টে এসেছেন।

আমার এই পোস্টটি আকবরের ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থার ( ইতিহাসের ) দারুন নোট।  আপনি পরীক্ষায় যদি এই নোটটি  লিখতে পারেন তাহলে আপনি ফুল মার্কস পাবেন।

পোস্টটিকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইল।

আকবরের ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা

আকবরের রাজস্ব ব্যবস্থার প্রধান উৎস ছিল ভূমি রাজস্ব।

মোগল ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা আকবরের আমলে গড়ে ওঠে। আকবর গোড়ায় নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।

১৫৬৩ খ্রিস্টাব্দে ইতিমাদ খাঁ দেওয়ান নিযুক্ত হলে তিনি খালসা জমিকে জায়গীর জমি থেকে আলাদা করে।

এরপর মোজাফফর খাঁ দেওয়ানের পদে বসে জমি জরিপ করে ফসলের উৎপাদনের পরিমাণ নির্ধারণ করার ব্যবস্থা করেন এবং উৎপাদনের ভিত্তিতে রাজস্ব ধার্য করেন।

এরপর টোডরমল দেওয়ান পদে নিযুক্ত হন। টোডরমলের সুপারিশে ১৫৮২ সালে আকবর রাজস্ব নীতি প্রণয়ন করেন। এই ব্যবস্থা অনুসারে সমস্ত জমি জরিপ করা হয়। উর্বরতা অনুযায়ী জমি গুলি কে চার ভাগে ভাগ করা হয় যথা –

১. পোলাজ অর্থাৎ উৎকৃষ্ট জমি।

২. পরৌতি বা যে জমি মাঝেমাঝে চাষের অযোগ্য থাকে।

৩. চাচর অর্থাৎ যে জমি তিন অথবা চার বছর অন্তর চাষ করা হয়।

৪. বাঞ্জর বা যে জমি চার বছর বা আরো বেশি সময় পতিত রাখতে হয়।

গড় উৎপাদনের এক-তৃতীয়াংশ রাজস্ব হিসাবে ধার্য করা হয়। রাজস্ব শস্যে বা নগত অর্থে‌ দেওয়া যেত।

টোডরমলের এই ব্যবস্থা জাবতি প্রথা নামে পরিচিত। এই প্রথা বিহার, এলাহাবাদ, মালব, অযোধ্যা, আগ্রা, দিল্লি, লাহোরে প্রচলিত ছিল।

এছাড়া গল্লাবক্স বা বাটাই প্রথা ও নসক প্রথা অনুসারে রাজস্ব আদায় করা হত।

গল্লাবক্স প্রথা অনুযায়ী যখন যেমন ফসল সরকার তার 1-3 অংশ কর হিসাবে আদায় করত।

এই প্রথা সিন্ধু, কাবুল ও কাশ্মীরে প্রচলিত ছিল। নসক প্রথা অনুযায়ী ক্ষেতের ফসল এর ফলন হলে রাজস্ব কর্মচারী সরজমিনে ফসল দেখে আন্দাজে রাজস্ব আদায় করত।

প্রত্যক্ষভাবে রায়তের কাছ থেকে এই প্রথায় ভূমি রাজস্ব আদায় করা হতো। বাংলাদেশ এই প্রথা প্রচলিত ছিল।


আরও পড়ুন ক্লিক করে – 

আকবরের রাজপুত নীতি

ঔরঙ্গজেবের ধর্মীয় নীতি

জায়গীরদারি প্রথা


আশা করি এই পোস্টটি থেকে আপনি –  আকবরের রাজস্ব ব্যবস্থা,আকবরের রাজস্ব ব্যবস্থার বিবরণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

আশা করি আকবরের রাজস্ব নীতির এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে।

আপনাকে জানাই অনেক ধন্যবাদ এই পোস্টটি পড়ার জন্য।

এই পোস্টটি আপনার উপকারে আসলে বন্ধুবান্ধবের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।


পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Comment