বক্সারের যুদ্ধের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

বক্সারের যুদ্ধের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

পোস্টটি শেয়ার করুন

আপনি কি অনলাইনে বক্সারের যুদ্ধের গুরুত্ব ও তাৎপর্য | বক্সারের যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল |বক্সারের যুদ্ধ কবে কাদের মধ্যে হয়েছিল |বক্সারের যুদ্ধ কেন হয়েছিল ( Boxar Juddho ) সম্পর্কে জানতে চাইছেন,

যদি তাই হয়, 

আপনি সঠিক পোস্টে এসেছেন।

আমার এই পোস্টটি বক্সারের যুদ্ধের তাৎপর্য  ( ইতিহাসের ) দারুন নোট ( Free Pdf )।  আপনি পরীক্ষায় যদি এই নোটটি  লিখতে পারেন তাহলে আপনি ফুল মার্কস পাবেন।

পোস্টটিকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইল।

বক্সারের যুদ্ধের তাৎপর্য 

ভারতবর্ষের ইতিহাসে পলাশীর যুদ্ধের ফলে বাংলা তথা ভারতের সমাজ জীবনে এক নতুন যুগের সূত্রপাত হলেও বক্সারের যুদ্ধ ছিল ভারত ইতিহাসে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজ প্রভুত্ব বিস্তারে যে সূচনা হয় বক্সারের তার পূর্ণতা লাভ করে। এদিক দিয়ে বক্সারের যুদ্ধকে পলাশী যুদ্ধে চরম পরিণতি বললে অত্যুক্তি হয় না। দেখা যায় বাংলার স্বাধীনচেতা নবাবের সঙ্গে ইংরেজদের সংঘাত ছিল ইতিহাসের অনিবার্য্য পরিণতি। তাই উভয়কক্ষই এই পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিল। ফলে কোন আপোস রক্ষার পরিবর্তে উভয়ই বৃহত্তর যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। 

ডাউনলোড পিডিএফ ( বক্সারের যুদ্ধ )

কিন্তু পরপর কাটেয়া, ঘেরিয়া ও উদয়নালার যুদ্ধে মীরকাশিম ইংরেজদের হাতে পরাজিত হন। ইংরেজ বাহিনী মুঙ্গের দখল করলে মীরকাশিম অয্যোধায় যান। অতঃপর তিনি অয্যোধার নবাব সুজা-উ-দৌল্লা এবং দিল্লীর নাম মাত্র সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে পুনরায় বাংলায় প্রবেশ করে বক্সারের প্রান্তরে উভয় পক্ষের বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে মীরকাশিম সুজা ও শাহ আলমের মিলিত বাহিনী ইংরেজদের কাছে পরাজিত হয়। বস্তুত এই যুদ্ধই বক্সারের যুদ্ধ নামে পরিচিত।

বক্সারের যুদ্ধের ঐতিহাসিক গুরুত্ব যথেষ্ট কেননা

১) পলাশির যুদ্ধ ছিল কয়েকটি কামানের লড়াই আর বক্সারের যুদ্ধ তার চূড়ান্ত ফল। 

২) নবাব মিরজাফর ইংরেজদের হাতের পুতুলে পরিণত হয় আর বনিকের মানদন্ড রাজদন্ড রূপে দেখা দেয়। 

৩) বক্সারের যুদ্ধের পরের বছর কোম্পানী দেওয়ানী লাভ করে ও দ্বৈত শাসন প্রতিষ্ঠা করে। 

৪) বক্সারের যুদ্ধের ফলে কোম্পানীর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক শক্তি অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। 

৫) ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথ বলেছেন পলাশির যুদ্ধ ছিল কয়েকটি কামানের খেলা কিন্তু বক্সারের যুদ্ধ ছিল এক চূড়ান্ত যুদ্ধ। 

৬)বক্সারের যুদ্ধে মিরকাশিমের পরাজায়ের ফলে বাংলার স্বাধীন নবাবী আমলের শেষ আস্তিত্ব লুপ্ত হয়। 

৭) ১৭৬৫ সালে এলাহাবাদের চুক্তি দ্বারা কারা ও এলাহাবাদ ইংরেজরা লাভ করে এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরণ আদায় করে। 

৮) অযোধ্যায় ব্রিটিশ বাহিনী মোতায়েন রাখা হয় তার ব্যয় ভার গ্রহণ করতে হয় দেশীয় রাজাদের। 

৯)শাহ আলম বার্ষিক ২৬লক্ষ টাকার বিনিময়ে বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার দেওয়ানী অধিকার করে। 

১০)এই যুদ্ধের পর থেকে ইংরেজ সরকার পাকাপাকি ভাবে প্রশাসনিক দায়িত্ব পায়। 

বক্সারের যুদ্ধ কবে কাদের মধ্যে হয়েছিল

বক্সারের যুদ্ধ ১৭৬৪ সালে সংঘটিত হয়। বক্সারের যুদ্ধ মিরকাশিম সুজা ও শাহ আলমের মিলিত বাহিনীর সঙ্গে ইংরেজদের সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধে ইংরেজ বাহিনী জয় লাভ করে।

আরও পড়ুন ক্লিক করে –

পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ

আকবরের রাজস্ব ব্যবস্থা


আশা করি এই পোস্টটি থেকে আপনি –  বক্সারের যুদ্ধের গুরুত্ব ও তাৎপর্য | বক্সারের যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল |বক্সারের যুদ্ধ কবে কাদের মধ্যে হয়েছিল |বক্সারের যুদ্ধ কেন হয়েছিল | সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

আপনাকে জানাই অনেক ধন্যবাদ এই পোস্টটি পড়ার জন্য।

এই পোস্টটি আপনার উপকারে আসলে বন্ধুবান্ধবের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।


পোস্টটি শেয়ার করুন

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *