Class 6 History Question Answer wbbse

পোস্টটি শেয়ার করুন

Class 6 History Question Answer wbbse | Class 6 History Question Answer in Bengali | Class 6 History Important Question Answer |

Class 6 History Question Answer in Bengali

১ ) সবচেয়ে পুরনো আদিম মানুষের খোঁজ পাওয়া গেছে _______ ।

উঃ – পূর্ব আফ্রিকাতে ।

২ ) পাথরের যুগকে সাধারণভাবে _____ পর্যায়ে ভাগ করা হয় ।

উঃ – তিনটি ।

৩ ) আদিম মানুষ প্রথম কৃষি কাজ শেখে _____ যুগে ।

উঃ – নতুন পাথরের ।

আরও দেখো নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে –

৪ ) ভীমবেটকার গুহার দেওয়ালে কেমন ধরনের ছবি পাওয়া গেছে ?

উঃ – ভীমবেটকার গুহার দেওয়ালে আদিম মানুষের আঁকা বিভিন্ন ছবি পাওয়া গেছে । যার মধ্যে বেশির ভাগ রয়েছে বন্য পশুর ছবি। তাছাড়া পাখি, মাছ, কাঠবিড়ালির মত প্রাণীর ছবিও দেখা যায় । এছাড়া দেখা যায় মানুষ একা অথবা দলবেঁধে শিকার করছে । তাদের কারো কারো মুখে মুখোশ, হাতে-পায়ে গয়না। অনেক সময়ই মানুষের সঙ্গে কুকুরকে দেখা যায় । ছবিগুলিতে সবুজ ও হলুদ রঙের ব্যবহার হলেও বেশি দেখা যায় সাদা এবং লাল রং ।

৫ ) পুরনো পাথরের যুগে আদিম মানুষের জীবন কেমন ছিল ?

উঃ – পুরনো পাথরের যুগে আদিম মানুষের জীবন এই রকম ছিল –

দলবদ্ধভাবে শিকার – পুরনো পাথরের যুগে আদিম মানুষ দলবদ্ধ ভাবে পশু শিকার ও ফলমূল সংগ্রহ করত এবং মিলেমিশে খাবার ভাগ করে খেত।

পোশাক-পরিচ্ছদ – প্রচণ্ড ঠাণ্ডার হাত থেকে বাঁচতে পুরনো পাথরের যুগে আদিম মানুষ পশুর চামড়া, গাছের ছাল ও লতাপাতা পোশাক রূপে ব্যবহার করত ।

খাদ্য – পুরনো পাথরের যুগে আদিম মানুষ শিকার করে পশুর মাংস ও বনের ফলমূল সংগ্রহ করে খেত ।

হাতিয়ার – ভারী এবং এবড়োখেবড়ো পাথরের হাতিয়ার এ যুগের মানুষ ব্যবহার করতো ।

৬ ) আগুনের ব্যবহারের ফলে মানুষের জীবনে কি কি পরিবর্তন এসেছিল ?

উঃ – আগুনের ব্যবহারের ফলে মানুষের জীবনযাত্রার ধরন অনেকটাই বদলে গিয়েছিল। যেমন –

আত্মরক্ষা – প্রচণ্ড শীতের হাত থেকে বাঁচতে আদিম মানুষ আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করতো । হিংস্র জন্তুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তারা গুহার মুখে আগুন জ্বালিয়ে রাখতো।

খাদ্যাভাসের বদল – এসময় আদিম মানুষ কাঁচা মাংসের পরিবর্তে আগুনে ঝলসানো নরম মাংস খেতে শুরু করে ।

শারীরিক পরিবর্তন – আগুনে ঝলসানো নরম মাংস খেয়ে তাদের শরীরের গঠন ও বুদ্ধির পরিবর্তন হয়ে গেল ।

৭ ) প্রশ্ন – যাযাবর মানুষে কীভাবে ধীরে ধীরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছিল ?

উত্তর – আদিম মানুষের ইতিহাসে নতুন পাথরের যুগ অনেকদিক থেকেই নতুন ছিল । পাথরের হাতিয়ার বানানোর কৌশল অনেক উন্নত হয়েছিল । নানান রকম পাথরের হাতিয়ার তৈরি করা শুরু হয় । পাশাপাশি ছোট পাথরের হাতিয়ার এ সময় ব্যবহার করা হতো । এই পর্যায়ে প্রথম আদিম মানুষ কৃষিকাজ শেখে । ফলে তারা নিজেরা নিজেদের খাদ্য উৎপাদন শুরু করে । নতুন পাথরের যুগে শিকার করতে বা পশু চরাতে ছেলেরা দল বেঁধে যেত । মেয়েরা বাচ্চাদের দেখাশোনা করতো । ফলমূল জোগাড় করতো । এইভাবে এক সময়ে গাছপালা দেখতে দেখতে মেয়েরা বুঝতে পারল কিভাবে বীজ থেকে চারা গাছ, আর চারা গাছ থেকে কিভাবে বড় গাছ হয় । তখন শুধু খাবারের খোঁজ নয় খাবার তৈরি করতে শিখলো তারা । মানুষ শিখল কৃষিকাজ করা। কৃষি কাজ শুরু হওয়ার ফলে কৃষি অঞ্চলে স্থায়ী বসতি বানিয়ে থাকতে শুরু করে মানুষ। চাষের সঙ্গে যুক্ত হয় বাস বা থাকা । চাষবাস কথাটা আজও ব্যবহার হয় । তার থেকে ক্ষেতের পাশে বসতি বানানোর গুরুত্ব বোঝা যায় । শিকার ও পশু পালনের জন্য মানুষকে নানান জায়গায় ঘুরে বেড়াতে হতো । কৃষি কাজ শুরু করার পরে সেই ঘোরাঘুরি বন্ধ হয় । তাছাড়া কৃষিকাজ খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করে। শিকারের মতো তা অনিশ্চিত নয়। ফলে যাযাবর মানুষ ধীরে ধীরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে ।

আরও দেখো –

৮ ) কোন অঞ্চলকে আর্যাবর্ত বলা হয় ? 

উঃ – ভারতবর্ষের উত্তর ও দক্ষিণ অংশকে ভাগ করেছে বিন্ধ্য পর্বত । সাধারণভাবে আর্যরা উত্তর অংশে বাস করতো বলে ওই অঞ্চলকে আর্যাবর্ত বলা হত । 

৯ ) প্রায় ঐতিহাসিক যুগ কাকে বলে ? 

উঃ – যে সময়ের লেখা পাওয়া যায়, অথচ তা পড়া যায় না সেই সময়কে প্রায় ঐতিহাসিক যুগ বলা হয় ।

১০ ) প্রশস্তি কি ? মুদ্রা কিভাবে ইতিহাস নির্মাণে সাহায্য করে ? 

উঃ – প্রাচীনকালে অনেক শাসকের গুনগানও লেখ হিসেবে খোদাই করা হতো । সেগুলোকে বলে প্রশস্তি । প্রশস্তি মানে গুনগান করা । এই প্রশস্তি লেখগুলি থেকেও ওই শাসকের বিষয়ে অনেক কিছু জানা যায় ।  যেমন – গুপ্ত সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের এলাহাবাদ প্রশস্তি । 

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস জানার জন্য মুদ্রা কাজে লাগে । মুদ্রায় শাসকের নাম, মূর্তি প্রভৃতি খোদাই করা থাকে । অব্দও পাওয়া যায় মুদ্রায় । এর ফলে মুদ্রা থেকে নানা রকম তথ্য জানতে পারা যায় । শক কুষাণদের ইতিহাস তো তাদের মুদ্রা থেকেই জানা যায় । 

১১ ) সাহিত্য উপাদানের সমস্যাগুলি কি কি ? 

উঃ – প্রাচীন ভারতের ইতিহাস লেখার ক্ষেত্রে অনেক রকম সাহিত্য উপাদান পাওয়া যায় । সে গুলোকে মোটামুটি দুই রকম ভাগে ভাগ করা যায় – দেশী ও বিদেশী লেখকদের রচনা । প্রাচীন ভারতের ইতিহাস লেখার জন্য তিন ধরনের বিদেশি বিবরণ খুব জরুরী । গ্রিক, রোমান ও চিনা দ্রুত ও পর্যটকদের বিবরণ । তবে বিদেশি সাহিত্য গুলির কয়েকটি সমস্যা আছে । বিদেশীরা ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃতি বুঝতেন না । ফলে অনেক কিছুর মানে বুঝতে তাদের ভুল হয়েছিল । তাছাড়া অনেক লেখার মধ্যে পক্ষপাতিত্ব ছিল । দেশীয় সাহিত্যতে পক্ষপাতিত্বের উদাহরণ আছে । তাছাড়া কাব্য নাটকে সমাজের নিচু তলার মানুষের কথা বিশেষ জানা যায় না । অধিকাংশ সাহিত্যের বর্ণনা মন গড়া । তবুও প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস জানার জন্য সাহিত্য উপাদানগুলোর গুরুত্ব রয়েছে ।   


Class 6 History Question Answer wbbse | Class 6 History Question Answer in Bengali | Class 6 History Important Question Answer |

আশা করি এই পোস্টটি তোমার অনেক উপকারে এসেছে। 

এই পোস্টটি তোমার উপকারে আসলে বন্ধুবান্ধবের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।


পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Comment