দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুৎ রচনা
আপনি কি অনলাইনে দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুৎ রচনা খুঁজছেন,
যদি তাই হয়,
আপনি সঠিক আর্টিকেলে এসেছেন।
আমি এই পোস্টটিতে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি – দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুৎ রচনা, প্রাত্যহিক জীবনে বিদ্যুৎ রচনা, বিদ্যুতের অবদান মানব জীবনে, বিদ্যুতের ব্যবহার ইত্যাদি।
আমার এই পোস্টটি বিদ্যুৎ রচনার দারুন নোট। আপনি পরীক্ষায় যদি এই রচনাটি লিখতে পারেন তাহলে আপনি ফুল মার্কস পাবেন।
পোস্টটিকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইল।

প্রাত্যহিক জীবনে বিদ্যুৎ রচনা
ভূমিকা –
সভ্যতার প্রথম লগ্নে মানুষ ছিল অরণ্যবাসী এক নিত্যান্ত অসহায় জীব। প্রকৃতির ভয়ঙ্কর রূপ দেখে তারা থাকতো ভীত আর হিংস্র জীবজন্তুদের অত্যাচারে তারা সর্বদা ভয়ে ভয়ে দিন কাটাতো।
গগনচুম্বী পাহাড় ও সমুদ্রের বিশালতা তাদেরকে মুগ্ধ করত। কিন্তু মানুষ তো থেমে থাকতে পারে না। কারণ সৃষ্টি কর্তা মানুষকে যে সমস্ত অমূল্য জিনিস দিয়েছে তার মধ্যে একটি অন্যতম হলো মানুষের বুদ্ধি। তাই সময়ের সাথে সাথে মানুষ একদিন আবিষ্কার করল আগুন আর আগুন আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে মানুষ বিজ্ঞানের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেল। মানুষকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। দিনের পর দিন আবিষ্কৃত হতে লাগল নানা বৈজ্ঞানিক বস্তু। এমনি করে একদিন আবিষ্কৃত হয়েছে বিদ্যুৎ।
বিদ্যুৎ আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে থেকে মানব সভ্যতার অগ্রগতি দ্রুত হয়েছে। আজ মানব জীবনে বিদ্যুতের অবদান খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা কত তা আমরা প্রতি মুহূর্তে অনুভব করে থাকি।
আরও পড়ুন ক্লিক করে – সাহিত্য পাঠের প্রয়োজনীয়তা রচনা
বিদ্যুতের অবদান মানব জীবনে
বিদ্যুৎ আবিষ্কৃত হওয়ার পর মানব জীবনে আসলো এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন। বিদ্যুৎকে মানুষ কাজে লাগাল কল্যাণমূলক কাজে এর ফলে ধীরে ধীরে মানব সভ্যতার অগ্রগতি হতে থাকলো।
আধুনিক মানব জীবনের সঙ্গে বিদ্যুৎ ওতপ্রত ভাবে জড়িয়ে আছে। বিদ্যুৎহীন জীবন এখন আমরা কল্পনা করতে পারিনা। বিদ্যুৎ ছাড়া আধুনিক জীবন এখন অচল। মানুষ তার দৈনন্দিন জীবনে আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছে বিদ্যুৎ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে। গ্রামে শহরে বা নগরে যেখানে মানুষ বসবাস করুক না কেন বিদ্যুৎ হলো তার নিত্যসঙ্গী।
আরও পড়ুন – ছাত্র জীবন সৌজন্য ও শিষ্টাচার রচনা
বিদ্যুতের ব্যবহার
বর্তমান যুগে মানুষ প্রতি মুহূর্তে বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল। শহরের যে কোন রাস্তার উপর দিয়ে হাঁটলে দেখতে পাওয়া যাবে দুদিকে দৈত্য আকারের ল্যাম্পপোস্ট, চোখে পড়বে অসংখ্য অফিস, দোকান-বাড়ি আলোকিত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
সন্ধ্যার পর গ্রাম শহরের রাস্তার উপর দিয়ে হাঁটলে দেখতে পাওয়া যাবে গ্রাম-শহরের দোকান ও বাড়িগুলো বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়ে আছে। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠি আমরা যে খবরের কাগজ পায় তা আগের রাতে মুদ্রিত হয় আর এই মুদ্রণযন্ত্র বৈদ্যুতিক শক্তির দ্বারা পরিচালিত হয়।
বর্তমান যুগে মানুষ সময়ের অভাবে প্রতিদিন বাজারে যেতে পারে না ফলে যখন বাজায় যায় একসাথে অনেক সবজি, মাছ তরকারি কিনে আনে। আর বাড়তি সবজি তরিতরকারি, মাছ-মাংস তুলে রাখা হয় বিদ্যুৎ চালিত ফ্রিজে যা ঐ সমস্ত জিনিস গুলো কে পচনের হাত থেকে রোধ করে। ছাত্র-ছাত্রীরা সকালে উঠে যে পাঠ্যবই পরে তাও এখন ছাপা হয় বিদ্যুৎ চালিত মুদ্রণ যন্ত্র।
বিদ্যুৎ এর ফলে আমরা আমাদের মোবাইলগুলো ল্যাপটপগুলো বা কম্পিউটার গুলো চার্জ দিচ্ছি আর এর দ্বারা আমরা ইমেইল করছি পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। এছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমরা অনেক জ্ঞান অর্জন করছি। সারাদিন পর আমরা যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ছি তখন একটু আরাম আর স্বস্তি বোধ করার জন্য বাড়িতে এসে বৈদ্যুতিক পাখা কিংবা এয়ার কন্ডিশন মেশিন চালিয়ে দিচ্ছে কিংবা রেডিও বা টেলিভিশনের সুইচ অন করে দিচ্ছি।
এমনকি বর্তমানে গৃহস্থলীর কাজেও বিদ্যুতের ব্যবহার করা হচ্ছে যেমন ময়লা জামা কাপড় ধোয়ার জন্য রয়েছে ওয়াশিং মেশিন, ইস্ত্রি করার জন্য ইলেকট্রিক ইস্ত্রি মেশিন, রান্নাঘর পরিষ্কার করার জন্য রয়েছে বিদ্যুৎচালিত ক্লিনার, ঠান্ডার দিনে জল গরম করার জন্য বৈদ্যুতিক হিটার এছাড়া কোন কিছু মিক্সচার করার জন্য মিক্সচার মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া কৃষি শিল্প প্রযুক্তি প্রতিটা ক্ষেত্রে বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। আগেকার দিনে মানুষ নাগোল দিয়ে চাষ করতো এখন সে জায়গায় চলে এসেছে বিদ্যুৎ চালিত মোটর, ট্রাক্টর, ধান কাটার মেশিন, সেচের জন্য বিদ্যুৎ চালিত পাম্প ইত্যাদি।
উপসংহার
বিদ্যুৎকে অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করাই মানুষের বিস্তর ক্ষতি হচ্ছে। মানুষ অনেক বেশি বিদ্যুৎ নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কি পরিমান বিদ্যুৎ নির্ভর তার প্রমাণ পাওয়া যায় লোডশেডিংয়ের সময়।
অনেক সময় আমরা প্রচুর বিদ্যুতের অপচয় করি চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ সঠিকভাবে হচ্ছে না এই কথা মনে রেখে আমাদের বিদ্যুৎ অপচয় বন্ধ করা প্রয়োজন। এছাড়াও বিদ্যুতের সুফল দেশের প্রতিটা মানুষের কাছে পৌঁছায়নি। মনে রাখতে হবে সমাজে সার্বিকভাবে বিদ্যুৎকে পৌঁছে দিতে না পারলে দেশের উন্নতি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।
আরও পড়ুন ক্লিক করে – ইংরেজি রচনা লেখার নিয়ম
আরও পড়ুন – নেতাজির জীবন কাহিনী
আশা করি আপনি এই পোস্টটি থেকে দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুৎ রচনা ও দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুতের ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
আশা করি বিদ্যুৎ রচনার এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে।
আপনাকে জানাই অনেক ধন্যবাদ এই রচনার পোস্টটি পড়ার জন্য।
এই পোস্টটি আপনার উপকারে আসলে বন্ধুবান্ধবের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।