ই শ্রম কার্ড কী | ই শ্রম কার্ড কারা করতে পারবে | ই শ্রম কার্ডের সুবিধা | যোগ্যতা | অনলাইন আবেদন |
ই শ্রম কার্ড কী | ই শ্রম কার্ড কারা করতে পারবে | ই শ্রম কার্ডের সুবিধা | ই শ্রম কার্ডের আবেদনের যোগ্যতা | অনলাইন আবেদনের জন্য কি কি লাগবে |
আপনি এই পোস্টটি থেকে ই শ্রম কার্ড ( E Sharam Card ) সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন ।
তাই আপনাকে এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ করবো ।
ই শ্রম কার্ড কী ( What is E Sharam Card )
ই শ্রম কার্ড কী ( What is E Sharam Card )

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি 26 আগস্ট 2021 সালের বৃহস্পতিবার অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য ই শ্রম ( E Sharam ) নামে একটি নতুন প্রকল্প চালু করেছে । এই ই শ্রম ( E Sharam ) কার্ডের মাধ্যমে অসংগঠিত শ্রমিকরা সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন সুবিধা লাভ করবে ।
ই শ্রম ( E Sharam ) পোর্টালে দেশের প্রায় 40 কোটি শ্রমিকদের একটি 12 ডিজিটের ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর ( UAN ) কার্ড দেওয়া হবে । এই কার্ডটি সমগ্র দেশে বৈধতা পাবে । কাজ অনুসারে শ্রমিকদের বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করা হবে এবং সেই হিসেবে তারা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাবে ।
ই শ্রম কার্ড কারা করতে পারবে
আমাদের দেশের যেসব অসংগঠিত শ্রমিক আছে তারা এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত । আমি নিচে অসংগঠিত শ্রমিকদের কয়েকটি উদাহরণ দিলাম ।
ভাগচাষী, জেলে, কৃষিশ্রমিক, পশুপালনে নিয়োজিত, বিড়ি শ্রমিক, লেভেল এবং প্যাকিংয়ের কাজে নিযুক্ত শ্রমিক, ভবন এবং নির্মাণ শ্রমিক, চামড়ার কাজে নিযুক্ত শ্রমিক, কাঠমিস্ত্রি, ইট এবং পাথর খনিতে নিযুক্ত শ্রমিক, নাপিত, সবজি ও ফল বিক্রেতা, সংবাদপত্র বিক্রেতা, রিক্সা অটোচালক, সেরিকালচার শ্রমিক, ছুতোর মিস্ত্রি, রাস্তায় বিক্রেতারা, সাধারণ পরিষেবা কেন্দ্র ইত্যাদি ।
ই শ্রম কার্ডের সুবিধা ( E Sharam Card Benefits in Bengali )
ই শ্রম কার্ডের সুবিধা ( E Sharam Card Benefits in Bengali )
i ) কখনো দুর্ঘটনার কবলে পড়লে বীমার সুবিধা পাওয়া যাবে ।
ii ) কোন ব্যক্তির মৃত্যু হলে বা পুরোপুরি অক্ষম হলে দু লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয় ।
iii ) কোন ব্যক্তি আংশিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়লে তাকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয় ।
iv ) এই প্রকল্প থেকে চাকরির সুযোগ করে দেয়া হবে এবং কেন্দ্র সরকারের যে সমস্ত প্রকল্প আছে সেই সমস্ত প্রকল্পে সুযোগ-সুবিধা এই কার্ডের মাধ্যমে দেওয়া হবে ।
ই শ্রম কার্ড করার পর কি কি সুবিধা পাবেন
ই শ্রম কার্ডের কর্মসংস্থান প্রকল্প –
i ) ( PMKVY ) প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা – এই যোজনার মাধ্যমে বিভিন্ন চাকরির কোর্সের ফ্রিতে ট্রেনিং নেওয়া যাবে । তাছাড়া এই যোজনার মাধ্যমে স্কলারশিপ ও সার্টিফিকেট দেওয়া হবে ।
ii ) ( PMEGP ) প্রাইম মিনিস্টার এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন প্রোগ্রাম – এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে অষ্টম শ্রেণী পাস করে থাকা ১৮ বছর বয়সীদের চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে হবে ।
iii ) প্রতি বছর ১০০ দিনের কাজ পাওয়ার বিশেষ সুবিধা পাওয়া যাবে ।
iv ) ( DDUGKY ) দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রামীণ কৌশল যোজনা – এই বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে ছেলে মেয়ে উভয়েই ট্রেনিং নিতে পারবে এবং কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ট্রেনিং শেষ করার পর প্রাইভেট চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে ।
v ) প্রাইম মিনিস্টার সভানিধি প্রকল্পের মাধ্যমে ১০০০০ টাকার লোন দেওয়া হবে ব্যবসার ক্ষেত্রে ।
সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্প –
i ) ন্যাশনাল পেনশন স্কিম এর অন্তর্ভুক্ত হবে ।
ii ) প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানধন যোজনার মাধ্যমে প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা করে দেওয়া হবে ।
iii ) প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা যোজনা মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বীমা কভারেজ দেওয়া হবে ।
iv ) প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বীমা কভারেজ দেওয়া হবে ।
v ) অটল পেনশন যোজনা এই যোজনার মাধ্যমে ১০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত পেনশন দেওয়া হবে ।
vi ) প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীন এর আওতায় প্রতিবন্ধী ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, পারিবারিক সহায়তা ভাতা, বিধবা ভাতা পাওয়া যাবে ।
vii ) প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা – এই যোজনার মাধ্যমে চিকিৎসার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হবে ।
viii ) ন্যাশনাল সাফাই কর্মচারী ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন এর সব সুবিধা পাওয়া যাবে।
ix ) সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা মাধ্যমে টাকা দেওয়া হবে ২১ বছর বয়সী মেয়েদের ।
x ) ( PM Kisan FPO Yojana ) এই যোজনার মাধ্যমে কৃষকদের ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হবে ।
ই শ্রম কার্ডের আবেদনের যোগ্যতা

i ) বয়স 16 থেকে 59 বছরের মধ্যে হতে হবে
ii ) যারা ইনকাম ট্যাক্স এর সঙ্গে যুক্ত নয় তারা আবেদন করতে পারবে ।
iii ) যারা EPFO এবং ESIC এর সদস্য নয় ।
iv ) অবশ্যই অসংগঠিত শ্রমিকদের আওতায় থাকতে হবে ।
ই শ্রম অনলাইন আবেদনের জন্য কি কি লাগবে

বাধ্যতামূলক
আধার কার্ড, চালু ব্যাংক একাউন্ট, চালু একটি মোবাইল নম্বর ।
বাধ্যতামূলক নয়
শিক্ষাসংক্রান্ত সার্টিফিকেট, ইনকাম সার্টিফিকেট, পেশা সংক্রান্ত সার্টিফিকেট, দক্ষতার সার্টিফিকেট ।
ই শ্রম কার্ড অনলাইন রেজিস্ট্রেশান প্রসেস
1 ) প্রথমে গুগোল এ সার্চ করুন – esharam.gov.in

2 ) তারপর রেজিস্টার করার জন্য ( Register On E Sharam ) এ ক্লিক করুন ( আপনার আধারের সাথে যদি মোবাইল নম্বর লিঙ্ক করা থাকে ) ।

3 ) তারপর আপনার মোবাইল নম্বর দিন, ক্যাপচা দিন, দিয়ে ( Send Otp ) তে ক্লিক করুন ।

4 ) তারপর ছয় সংখ্যার ওটিপি দিয়ে সাবমিট এ ক্লিক করুন ।

5 ) তারপর আপনার আধার নম্বর বক্সে দিন এবং ( I agree ) তে ক্লিক করে সাবমিট এ ক্লিক করুন ।

6 ) তারপর আপনার মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি আসবে । সেই ওটিপিটা Enter করে ( Validate ) এ ক্লিক করুন ।

7 ) তারপর পরবর্তী পেজে আপনার ছবি সহ বিস্তারিত মিলিয়ে নিয়ে ( I agree ) তে ক্লিক করে ( Continue to Other details ) এ ক্লিক করুন ।

8 ) তারপর আপনার পার্সোনাল ইনফরমেশন ( ব্যক্তিগত তথ্য ) ফিলাপ করে ( Save and Continue ) তে ক্লিক করুন।

9 ) তারপর পরবর্তী পেজে আপনার ঠিকানা দিন । আর পার্সোনাল এড্রেস আর কারেন্ট এড্রেস এক হলে বক্সে ক্লিক করে ( Save and Continue ) তে ক্লিক করুন।
10 ) তারপর পরবর্তী পেজে এডুকেশনাল কোয়ালিফিকেশন ( শিক্ষাসংক্রান্ত যোগ্যতা ) ফিলাপ করে ( Save and Continue ) তে ক্লিক করুন।

11 ) তারপর পরবর্তী পেজে Occupation and Skills ( পেশা এবং দক্ষতা ) ফিলাপ করে ( Save and Continue ) তে ক্লিক করুন।

12 ) তারপর পরবর্তী পেজে আপনার ব্যাংকের যাবতীয় তথ্য দিয়ে ( Save and Continue ) তে ক্লিক করুন।

13 ) পরবর্তী পেজে আপনি যা ফিলাপ করেছেন তা ভালো করে দেখে মিলিয়ে নিন । I Undertook বক্সে ক্লিক করে সাবমিট এ ক্লিক করুন।

14 ) তারপর আপনার ই শ্রম কার্ডটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নেবেন ।
আরও দেখুন ক্লিক করে –
স্বাস্থ্য ইঙ্গিত টেলিমেডিসিন পরিষেবা
ই শ্রম কার্ড কী | ই শ্রম কার্ড কারা করতে পারবে | ই শ্রম কার্ডের সুবিধা | ই শ্রম কার্ডের আবেদনের যোগ্যতা | অনলাইন আবেদনের জন্য কি কি লাগবে |
আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে ।
পোস্টটি উপকারে আসলে নিচে শেয়ার বাটনে ক্লিক করে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো ।