একটি ছুটির দিনের অভিজ্ঞতা রচনা ( Free Pdf )

পোস্টটি শেয়ার করুন

একটি ছুটির দিনের অভিজ্ঞতা রচনা | একটি স্মরণীয় ছুটির দিন রচনা | আমার ছুটির দিন অনুচ্ছেদ | Ekti Chutir Din Essay In Bengali |

তুমি কি অনলাইনে একটি ছুটির দিনের অভিজ্ঞতা রচনা, Ekti Chutir Din Essay In Bengali খুঁজছো ,

যদি তাই হয়, 

তুমি সঠিক পোস্টে এসেছো ।

আমার এই পোস্টটি একটি ছুটির দিনের অভিজ্ঞতা রচনার দারুন নোট। তুমি পরীক্ষায় যদি এই রচনাটি লিখতে পারো তাহলে তুমি ফুল মার্কস পাবে।

একটি স্মরণীয় ছুটির দিন রচনার পোস্টটিকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইল।

একটি স্মরণীয় ছুটির দিন রচনা ( Free Pdf Download )

ভুমিকা

কোনদিন ছুটি পাওয়া প্রত্যেক মানুষের কাছে একটি আনন্দের বিষয়। ছুটি পেলেই আমাদের হৃদয় আনন্দে ভরে যায়।

তেমনই হঠাৎ আমরা একটা ছুটির দিন পেলাম একেবারে আচমকা ও অপ্রত্যাশিত। একটানা পড়াশোনার মধ্যে কাটাবার পর হঠাৎ করে আমাদের সামনে এসে হাজির হয়ে গেল এক অপ্রত্যাশিত ছুটির দিন। গুমোট গরমের মধ্যে যেন এক পশলা বৃষ্টি।

আর এই ছুটি পাওয়ার সাথে সাথে রবীন্দ্রনাথের একটি কথা মনে পড়ে গেল, ” আজ আমাদের ছুটি রে ভাই,/ আজ আমাদের ছুটি “।

হঠাৎ পাওয়া একটি ছুটির দিন

হঠাৎ বিদ্যালয়ের বিদ্যাচর্চা ধাক্কা খেল। সব প্রোগ্রাম কে নষ্ট করে হঠাৎ এসে হাজির হলো ওই ছুটি।

বিদ্যালয়ে গিয়ে শুনলাম বিদ্যালয়ের ছেলেরা গতকাল জেলা টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়ে কাপ জিতে এসেছে সুতরাং তাদের ওই অসাধারণ সাফল্যের জন্য বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করেছে।

ছুটির দিনটি অতিবাহিত করার পরিকল্পনা

বিদ্যালয়ে এসে আমরা জানতে পারলাম এই ছুটির খবর সুতরাং আর আজকে আমাদেরকে ক্লাস করতে হবে না। আবার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ফিরে যাও ভালো লাগেনা। হঠাৎ করে দেখতে পেলাম আমাদের গণিতের শিক্ষক মহাশয় এই ছুটির খবরটা না জেনে তিনিও বিদ্যালয় চলে এসেছেন।

গণিতের শিক্ষক মহাশয় আমাদের মনের কথা বুঝতে পেরে তিনি বললেন – যদি তোমরা বাড়ি ফিরে না যাও তাহলে আমি তোমাদেরকে একটি জায়গায় নিয়ে যেতে পারি। যারা যেতে আগ্রহী তারা আমার সাথে এসো এবং বাড়িতে আমার ফোন থেকে ফোন করে জানিয়ে দাও।

আমরা মোট পাঁচজন স্যারের কথায় রাজি হলাম তারপর বাড়িতে জানিয়ে দিলাম এবং আমাদের মনের ভেতরটা আনন্দে ভরে যাচ্ছিল।


একটি ছুটির দিনের অভিজ্ঞতা রচনা | একটি স্মরণীয় ছুটির দিন রচনা | আমার ছুটির দিন অনুচ্ছেদ | Ekti Chutir Din Essay In Bengali |

আরও দেখো –

নিরক্ষরতা দূরীকরণে ছাত্র সমাজের ভূমিকা রচনা

সাম্প্রদায়িকতা ও ছাত্রসমাজ রচনা

ডাউনলোড ফ্রী পিডিএফ


শিক্ষক মহাশয় এর সাথে মিলেনিয়াম পার্কে যাওয়া

গঙ্গার বুকে লঞ্চে চেপে আমরা গঙ্গাতীরের বিশেষ একটি জায়গায় গিয়ে পৌছালাম। জায়গাটির নাম হল ” ফেয়ারলি “। তখন ঠিক দুপুর 12 টা তেমন ভিড়ভাট্টা নেই। 

শিক্ষক মহাশয় আগে হাঁটতে থাকে আর আমরা তার পিছনে হাটতে থাকি। খানিকটা এগিয়ে যাওয়ার পর নদীর তীরে একটি সুন্দর বাগানের সামনে এসে থমকে দাঁড়ালেন শিক্ষক মহাশয়। 

তারপর তিনি আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন চেনো নাকি এই বাগানটা, জানো কি এর নাম – এর নাম হল ” মিলেনিয়াম পার্ক “। 

আজকের হঠাৎ ছুটির দিনে এই পার্কটি কে আমরা উপভোগ করতে চাইলাম।

মিলেনিয়াম পার্ক এর বর্ণনা

মিলেনিয়াম পার্ক এর ভেতরে ঢোকার পর আমাদের কৌতূহল আরো বেড়ে গেল। 

মাঝখান দিয়ে রঙিন পাথরে বাঁধানো রাস্তা। রাস্তার দুপাশে নানা বর্ণের ফুলের গাছ। 

কেবল ফুল গাছ নয়, রয়েছে লতা-বিতান। বসবার কি সুন্দর ব্যবস্থা, পাথরের সিংহাসন। সিংহাসনে বসে মনে হল আমরা যেন এই সুন্দর ফুল বাগিচার রাজা। 

যেদিকে এবং যতদূর চোখ যায় সবই যেন সুন্দরের রাজত্ব। কি পরিষ্কার বাগান কোথাও কোথাও উচ্ছলিত ঝর্ণাধারা, ঝিরঝির করে জল ঝরছে কৃত্রিম পদ্ধতিতে। 

একপাশে শহর কলকাতার স্টান্ড রড, ওপাশে প্রবাহিত হয়েছে গঙ্গা নদী। দুপুরের রোদ ঝিলিক দিচ্ছে গঙ্গার তরঙ্গমালায়। 

তরঙ্গের মাথায় হাজার হিরের ঝলক।কিছুটা দূরে গঙ্গার বুকে দাঁড়িয়ে রয়েছে কয়েকটি জাহাজ। এক ঝাঁক গাং চিল উড়ছে জাহাজের মাথায়।

মাথার ওপর বিশাল আকাশ আর আকাশে সুন্দর সাদা মেঘের ফালি। সূর্যের আলোয় সেখানে চলছে মেঘ ও রোদ্দুরের সুন্দর খেলা। নদীর বুক থেকে ধীরে ধীরে প্রবাহিত হয়ে আসছে মৃদু মধুর সুন্দর বাতাস।

সৌন্দর্য উপভোগ

গঙ্গা নদীর অপরূপ শোভা আমাদের সকলকে মুগ্ধ করে দিল। এই নদীপথে জাহাজ আসতো দেশ-বিদেশের মাল নিয়ে। জাহাজ থেকে মাল নামাবার জন্য বানানো হয়েছিল বড় বড় ডেক।

আজ সেইসব জীর্ণ পাতার মতো ইতিহাসের গাছ থেকে খসে পড়েছে। স্ট্যান্ড রোডের পাশে গঙ্গার এই নদীতীর গত চার দশক পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছিল। 

পড়েছিল বজ্র পদার্থের আস্তাকুঁড় হয়ে। আজ হঠাৎ করে তার নতুন রূপ হয়েছে।

গঙ্গার তীরের সৌন্দর্যকে আমরা নতুন করে ফিরে পেয়েছি। ধন্যবাদ জানাই সেই দু’বছরের খ্রিস্টীয় সনকে যাদের স্মরণে এই মিলেনিয়াম পার্ক এর উদ্ভব।

দুপুর বেলার শেষভাগটা আমরা এই নদীর তীরেই কাটালাম। মাথার ওপর যে সূর্য ছিল তা পশ্চিম দিকে ঢলে পরলো। পার্কের গাছে গাছে শুনতে পাওয়া গেল পাখির কিচিরমিচির শব্দ। 

ওপারের গঙ্গাতীরের কারখানার একটি কল থেকে ভো বেজে উঠল। পশ্চিমের আকাশে ধরল লাল রং। 

এই মিলেনিয়াম পার্ক আমাদের সকলের মনকে এমন ভাবে রাঙিয়ে তুলল যা কোনদিন ভোলার নয়।

উপসংহার

ছক বাঁধা জীবনের ফাঁকে হঠাৎ আসা একটি ছুটির দিন আমাদের সকলের কাছে বহন করে নিয়ে এসেছিল একটি নতুন উপহার। 

যে উপহার আমাদের সর্বাঙ্গ ছুঁইয়ে দিল অমৃতের স্পর্শ। অপরাহ্ন বেলায় আমরা ফিরে এলাম নিজের নিজের বাড়িতে।

ফিরে এলাম ছুটির দিনের এক বুক ভরা আনন্দের উপহার নিয়ে।


আরও দেখো –

একটি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা রচনা

বই মানুষের প্রকৃত বন্ধু রচনা


একটি ছুটির দিনের অভিজ্ঞতা রচনা | একটি স্মরণীয় ছুটির দিন রচনা | আমার ছুটির দিন অনুচ্ছেদ | Ekti Chutir Din Essay In Bengali |

আশা করি একটি ছুটির দিন রচনার এই পোস্টটি তোমার অনেক উপকারে এসেছে।

তোমাকে জানাই অনেক ধন্যবাদ রচনার এই পোস্টটি পড়ার জন্য।

এই পোস্টটি তোমার উপকারে আসলে বন্ধুবান্ধবের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।


পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Comment