একটি উৎসবের স্মৃতি প্রবন্ধ রচনা

একটি উৎসবের স্মৃতি প্রবন্ধ রচনা

পোস্টটি শেয়ার করুন

আপনি কি অনলাইনে একটি উৎসবের স্মৃতি প্রবন্ধ রচনা, একটি উৎসবের স্মৃতি রচনা, Ekti Utsover Sriti Rachana, তোমার জন্মদিনের উৎসব খুঁজছেন,

যদি তাই হয়, 

আপনি সঠিক পোস্টে এসেছেন।

একটি উৎসবের স্মৃতি রচনা পোস্টটিকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইল।

একটি উৎসবের স্মৃতি রচনা

উৎসবের ভূমিকা 

উৎসব প্রিয় বাঙালি জাতির উৎসবের শেষ নেই । তাই আমাদের উৎসবকে বারো মাসে তেরো পার্বণ বলা হয় । এগুলি সামাজিক উৎসব হলেও ধর্মীয় উৎসব বলা যায় । কিছু নির্ভেজাল সামাজিক উৎসব যেমন জন্মদিন পালন, বিবাহ উৎসব, নববর্ষ উদযাপন ইত্যাদির কথা বলা যেতে পারে । এরকম ঠিক একটি সামাজিক উৎসবের স্মৃতি আমার হৃদয় মন জুড়ে আছে। কারণ সেই উৎসবের মধ্যে ছড়িয়ে আছে বহুজনের শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা।

বন্ধুর জন্মদিন

উৎসবটি ছিল আমাদের এক বন্ধুর জন্মদিনকে ঘিরে । আমার এই বন্ধুটির নাম হলো রাজা । রাজা হল আমাদের ক্লাসের একজন মেধাবী ছাত্র। লেখাপড়ায় সে যেমন দুর্দান্ত, খেলাধুলাতেও খুব ভালো । বলা বাহুল্য সব দিক থেকেই রাজা ছিল সেরা । সুন্দর তার চেহারা, প্রসন্ন মুখ, সারা মুখ জুড়ে সুন্দর এক ঝলক হাসি, বাইরের দিক থেকে দেখতে থাকে খুব সুখী বলেই মনে হতো কিন্তু ভেতরে ভেতরে তার ছিল বড় দুঃখ। 

সে দুঃখের কথা কোনদিন সে আমাদের বলিনি। তাই আমরা জানতামও না । যেদিন জানতে পারলাম সেদিন তার জন্মদিনের উৎসব । তারিখটা ঠিক মনে পড়ছে না, তবে সময়টা ছিল শীতের শেষ দিকে সম্ভবত ফেব্রুয়ারির মাঝে । হঠাৎ রাজা আমাদেরকে তার জন্মদিনের উৎসবে নিমন্ত্রণ জানালো।

আরও পড়ুন নিচে ক্লিক করে –

একটি ছুটির দিনের অভিজ্ঞতা রচনা

ডাউনলোড ফ্রী পিডিএফ

উৎসবের মাঝে উপহার দেওয়া

আমরা তখন ক্লাস টেনে পড়ি। আমরা দশ জন মতন বন্ধু ওদের বাড়ি গেলাম । ওদের একটি ছোট্ট বাড়ি ।‌ বাড়িটি তখন উৎসবে মাতোয়ারা। রাজার মা আমাদের খুব আদর করলে এবং তিনি খুব খুশি হলেন আমরা অনুষ্ঠানে এসেছি বলে। 

তবে রাজাকে দেখে আমাদের কিঞ্চিত আঘাত পেলাম। কারণ সে চার বছর বয়স থেকেই পিতৃহারা এবং তার একটি ছোট্ট বোন আছে এবং সেই বোনটিও দাদার মতো খুব মিশুকে । দাদার জন্মদিনে সেও ভারী খুশি। জন্মদিন উপলক্ষে সে নতুন পোশাক পরেছে । রাজার গায়ে নতুন শার্ট পরনে নতুন প্যান্ট ।

এবারের জন্মদিনে রাজার মা তাকে উপহার দিয়েছেন এক সেট বই উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ভ্রমণ কাহিনী । মার কাছ থেকে সেই উপহার পেয়ে রাজা খুবই খুশি এবং ছোট্ট বোনটি দাদাকে উপহার দিয়েছে বিভূতিভূষণের ” চাঁদের পাহাড় “। বইটা আমি আগেই পড়ে ফেলেছিলাম কারণ ওটি আমার প্রিয় বই ছিল। বইটি দেখে আমি খুব খুশি হলাম । 

আমরা সকলে রাজাকে কিছু গল্পের বই উপহার দিলাম । তার সাথে দিলাম রাশি রাশি ফুল। সন্ধ্যাবেলাটি ভরে উঠলো গানে গানে। রাজার বাড়িটি জন্মদিনের উৎসবে মেতে উঠলো । একদম শেষে খাওয়া-দাওয়া করে বাড়ি ফিরলাম। তখন রাত দশটা বাজছে।

উপসংহার

ফেরবার সময় রাজাকে বিস্তর শুভেচ্ছা জানিয়ে বললাম ‘ আবার আসছে বছর এই উৎসবে মিলিত হতে চাই আমরা সকলে ‘। রাজা হাসতে হাসতে আমাদের বলল আসছে বছর তোমাদের নিমন্ত্রণ করা যাবে না নিমন্ত্রণ করবো আবার চার বছর পরে । আমরা বললাম চার বছর পরে, কেন ? সে হাসতে হাসতে বলল কারণ একটাই আমার জন্ম ২৯ শে ফেব্রুয়ারি । 

হাসতে হাসতে রাজা কথাগুলি বলল বটে কিন্তু তার অন্তরে গভীর থেকে বেরিয়ে এলো একটা গভীর দীর্ঘশ্বাস যা আমাদের কারো চোখ এড়ালো না। আনন্দের মাঝে একটা করুন সুর হৃদয় বীনার তারের ঝংকৃত হল । সেই সুর আজও বাজে, আর সঙ্গে সঙ্গে ভেসে ওঠে আমার মনের রূপালী পর্দায় সেই উৎসবের বেদনা মধুর স্মৃতি। 

আরও পড়ুন নিচে ক্লিক করে –

তোমার জীবনের লক্ষ্য রচনা


আশা করি এই পোস্টটি থেকে আপনি –  একটি উৎসবের স্মৃতি প্রবন্ধ রচনা, একটি উৎসবের স্মৃতি রচনা, Ekti Utsover Sriti Rachana, তোমার জন্মদিনের উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

আশা করি একটি উৎসবের স্মৃতি রচনার এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে।

আপনাকে জানাই অনেক ধন্যবাদ রচনার এই পোস্টটি পড়ার জন্য।

এই পোস্টটি আপনার উপকারে আসলে বন্ধুবান্ধবের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।


পোস্টটি শেয়ার করুন

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *