সাহিত্য পাঠের প্রয়োজনীয়তা রচনা
আপনি কি অনলাইনে সাহিত্য পাঠের প্রয়োজনীয়তা, সাহিত্য পাঠের প্রয়োজনীয়তা রচনা সম্পর্কে জানতে চান ,
যদি তাই হয়,
আপনি সাহিত্য পাঠের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কিত সঠিক পোস্টে এসেছেন।
আমার এই পোস্টটি আপনি সাহিত্য পাঠের প্রয়োজনীয়তা প্রবন্ধ রচনার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে পারবেন। এবং এই পোস্টটি সাহিত্য পাঠের রচনার দারুন নোট।
পোস্টটি প্রথম থাকে শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো।
সাহিত্য পাঠের ভূমিকা
সাহিত্য কথার অর্থ হল পারস্পরিক সম্পর্ক।
সৃষ্টির শুরু থেকে মানুষ শুধু নিজেকে জেনেই থেমে থাকে নি। মানুষ অপরকেও জানতে চেয়েছে। জানানোর এই আনন্দ থেকেই সাহিত্যের সূচনা।
একদিকে বহিঃ প্রকৃতি অন্য দিকে মানব হৃদয় ও মনের চরিত্র সাহিত্যকের হৃদয়ের অন্তরে যে ঢেউয়ের উত্থান তার ভাষাগত প্রকাশই হল সাহিত্য।
সাহিত্য পাঠের প্রয়োজনীয়তা
সাহিত্য পাঠের গুরুত্ব অপরিসীম।
১. সাহিত্য আমাদের সত্য জানতে সাহায্য করে।
২. সাহিত্য মনুষ্যত্বের সর্বাঙ্গীন বিকাশ ঘটায়।
৩. সাহিত্য আমাদের ন্যায় অন্যায়ের বিচারে সাহায্য করে ও মুক্তি ও কল্যাণের পথে চালিত করে।
৪. সাহিত্য শুধুমাত্র নিজের ব্যক্তিগত চাহিদা মেটায় না, সাহিত্য পাঠের মধ্য দিয়ে আমরা সর্বকালীন মানুষ এবং অতীতের জীবন ধারাকে যেরকম জানতে পারি তেমনি অন্য ভাষার সাহিত্যের মধ্য দিয়ে অন্যান্য দেশের জীবনধারা সম্পর্কে ও জানতে পারি।
৫. সাহিত্যের মধ্য দিয়ে আমরা যেমন অতীত সম্পর্কে জানতে পারি তেমনি আমাদের নিজস্ব চিন্তাধারা ও ধ্যানধারণা কে আগত কালের জন্য লিপিবদ্ধ করে রাখতে পারি।
৬. সাহিত্য পাঠের মধ্য দিয়ে আমরা যেমন সামাজিক রীতিনীতি কে প্রকাশ করি ঠিক তেমনি আমাদের চিত্য যখন আবেগে ব্যাকুল তখন তা প্রকাশের উপায় হলো সাহিত্য।
আরও পড়ুন ক্লিক করে – বাংলা অনুচ্ছেদ লেখার নিয়ম
এছাড়া
সাহিত্য পাঠের উপকারিতা – সমাজের দর্পণ
ইংরেজিতে একটা কথা আছে ” Literature is the mirror of society ” অর্থাৎ সাহিত্য রূপ দর্পণে সমকালের জীবন ও সমাজ প্রতিফলিত হয়।
মধ্যযুগের সাহিত্যের মধ্যেও সমকালীন সমাজ ও জীবন সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়।
আর একালের মানবায়িত সাহিত্য মানুষের জীবন তথা সমাজকে এত খুঁটিয়ে তুলে ধরে যে সাহিত্য যথার্থই দর্পণ।
বাস্তবের সেই হাসি কান্নার ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আমরা পরে সুখ আনন্দ পায়। এটাই সাহিত্য পাঠের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দিক।
কল্পনা শক্তির বিকাশ
সাহিত্য পাঠের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের নিজেদের কল্পনা শক্তির বিকাশ ঘটায়। কল্পনা শক্তির বিকাশ সাহিত্যে একটি উল্লেখযোগ্য দিক।
কোনো চিত্র ধর্মী বর্ণনা ও বিশ্বাসযোগ্য চরিত্রের খোঁজ সাহিত্যের মধ্যে পাওয়া গেলে তা আমাদের ভিন্ন জগতের মানুষ গড়ে তোলে।
এছাড়া আমরা যখন কোনো জীবনী সাহিত্য পড়ি তখন আমাদের এক অসীম অনন্তের বার্তা নিজেদেরকে বিস্মৃত করে।
ভ্রমণ সাহিত্য পাঠের মধ্য দিয়ে আমাদের মানষ ভ্রমণ সম্পূর্ণ হয়। যেমন কালিদাসের ” মেঘদূত ” ।
অবসরের সঙ্গী
আমরা অনেকে অবসরের সময় বই পড়ে কাটায়। তাই বইকে অবসরের সঙ্গী বলা যায়।
বিভিন্ন বয়সের মানুষ অবসর কাটায় বিভিন্ন ধরনের গ্রন্থ পড়ে।
একটা ছোট্ট শিশু রূপকথার গল্প শুনতে ভালোবাসে। সে রূপকথার গল্প শুনে নিজের মধ্যে আনন্দ উপভোগ করে।
কিশোর বয়সের মানুষ খোঁজে অ্যাডভেঞ্চার বিষয়ক রচনা। কারণ এই বয়সের কিশোর কিশোরীরা এই রচনার মধ্যেই পেয়ে যায় আবেগের ঘোরাক।
আর একটু বয়সে তরুণ তরুণীরা রোমান্স ধর্মী সাহিত্য খোঁজে কারণ এর মধ্য দিয়ে তারা জীবনের উপকরণকে খুঁজে পায়।
আর পরিণত বয়সের মানুষেরা গল্প আর উপন্যাস পড়তে ভালোবাসে। তারা এই গল্প আর উপন্যাস পড়ে জীবনের গভীর ও তথ্যমূলক বিষয়গুলোকে আত্মস্থ করে। ( The purpose of reading literature )
Read In English – Why Read literature
উপসংহার
একাল হল বিজ্ঞানের যুগ সেই সঙ্গে বোধ হয় একাকিত্বের যুগও। বর্তমানের নিঃসঙ্গ বিচ্ছিন্ন জীবনে সাহিত্য নিয়ে আসতে পারে অপার আনন্দ।
কারণ সাহিত্যের মধ্য দিয়ে বাস্তব জীবন বাড়িয়ে এক অসীমের ইসারা ফুটে ওঠে আর তার মধ্য দিয়ে আমরা অনুভব করতে পারি জীবনের নতুন মূল্য।
তাই এই টেকনোলজির যুগে সাহিত্যকে আঁকড়ে ধরলে আমরা ব্যর্থ হব না।
আরও পড়ুন – ইংরেজি রচনা লেখার নিয়ম
আরও পড়ুন – ছাত্র জীবন সৌজন্য ও শিষ্টাচার রচনা
আশা করি আপনি এই পোস্টটি থেকে সাহিত্য পাঠের প্রয়োজনীয়তা রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
আপনি যে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর এই পোস্টটি থেকে পেয়েছেন তা হলো – সাহিত্য পাঠের প্রয়োজনীয়তা, সাহিত্য পাঠের প্রয়োজনীয়তা রচনা, সাহিত্য পাঠের প্রয়োজনীয়তা প্রবন্ধ,সাহিত্য পাঠের উপকারিতা , সাহিত্য পাঠের আনন্দ ইত্যাদি।
আশা করি সাহিত্য পাঠের পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে।
আপনাকে ধন্যবাদ আমাদের ওয়েবসাইটে এসে পোস্টটি পড়ার জন্য।
উপকারে আসলে পোস্টটি বন্ধু – বান্ধবের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো।