মাতৃভাষায় বিজ্ঞান চর্চা প্রবন্ধ রচনা / Matrivasa Rachana Bangla ( Pdf )

পোস্টটি শেয়ার করুন

মাতৃভাষায় বিজ্ঞান চর্চা প্রবন্ধ রচনা | বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চা প্রবন্ধ রচনা | মাতৃভাষায় বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব |

আপনি কি অনলাইনে মাতৃভাষায় বিজ্ঞান চর্চা প্রবন্ধ রচনা / Matrivasa Rachana Bangla  খুঁজছেন,

যদি তাই হয়, 

আপনি সঠিক পোস্টে এসেছেন।

আমার এই পোস্টটি মাতৃভাষায় বিজ্ঞান চর্চা রচনার দারুন নোট।  আপনি পরীক্ষায় যদি এই রচনাটি লিখতে পারেন তাহলে আপনি ফুল মার্কস পাবেন।

মাতৃভাষায় বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব পোস্টটিকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইল।

Matrivasa Rachana Bangla
Matrivasa Rachana Bangla

মাতৃভাষায় বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব ( Free Pdf Download )

ভূমিকা –

মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশ করে থাকে মাতৃভাষার মাধ্যমে। তেমনি বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্র মানুষ মাতৃভাষাকেই প্রয়োজনীয় বলে মনে করে তাই বহু প্রাচীনকাল থেকে পৃথিবীর নানান দেশে যখনই বিজ্ঞান চর্চা চলে তখনই শে মাতৃভাষা কি অবলম্বন করেছে। আসলে বলতে গেলে মাতৃভাষার মাধ্যমে বিজ্ঞান চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম।

বিজ্ঞান চর্চা

সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে মানুষের মধ্যে বিজ্ঞান চর্চার প্রভাব বেড়েই চলেছে। বিজ্ঞানের সাহায্যে মানুষ অসাধ্যকে সাধন করতে শিখেছে। তাই বিজ্ঞান সম্পর্কে মানুষের কৌতূহল দিনের পর দিন বাড়ছে।

আমাদের পৃথিবী যে কুসংস্কারে ভরে ছিল তা মানুষ সেই কুসংস্কারকে দূরে সরিয়ে রেখে বিজ্ঞানের প্রতি আস্থা রাখছে বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কার কে জানতে চাইছে যার ফলে বিজ্ঞান চর্চার প্রসার ঘটে চলেছে।

ডাউনলোড পিডিএফ

মাতৃভাষায় বিজ্ঞান চর্চার গুরত্ব

মাতৃভাষায় বিজ্ঞান চর্চার প্রয়োজনীয়তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ বিজ্ঞানের দ্বারা অনেক কিছু জানতে পেরেছে শিখতে পেরেছে। কেবল আমাদের জীবনের ক্ষেত্রে নয় বিজ্ঞানচেতনা আমাদের শিক্ষার ক্ষেত্রে নিয়ে এসেছে বিপুল পরিবর্তন।

আমাদের দেশ যে কুসংস্কারে আচ্ছন্ন ছিল তা এই বিজ্ঞানের দ্বারা মানুষ ঐ সমস্ত কুসংস্কারগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে এবং ঐ সমস্ত কুসংস্কারগুলো কে ভালোভাবে বুঝতে শিখেছে। বিজ্ঞান চিন্তা ও বিজ্ঞান চেতনার প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মনের কুসংস্কার কেটে যায়। বিজ্ঞানচেতনা কেবলমাত্র শুধু আমাদের শারীরিক অসুখ থেকে নিজেদেরকে বাচ্চাই না নানা রকম মানসিক রোগের বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে নিরাময় ঘটে থাকে।

প্রাচীন ভারতে মাতৃভাষায় বিজ্ঞান চর্চা

প্রাচীন ভারতে মানুষের মাতৃভাষা ছিল সংস্কৃত। তাই সে কালে এই সংস্কৃত ভাষায় বিজ্ঞান চর্চা চলত। প্রাচীন ভারতে চড়ক, নাগার্জুন সংস্কৃত ভাষাতেই তাদের গ্রন্থসমূহ গুলি লিখেছিলেন। সে যুগে সভ্যতার ধারাবাহিক উন্নতির পেছনে ছিল মাতৃভাষায় জ্ঞানচর্চা।

কিন্তু প্রাচীন যুগের শেষের দিকে সংস্কৃত ভাষার প্রতি মানুষের অবহেলা বাড়তে থাকল ফলে মাতৃভাষায় জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার পথ রুদ্ধ হয়ে গেল।

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার সূত্রপাত

বিজ্ঞান চর্চার ধারা একটা সময় স্তব্ধ হয়ে গেলেও ইংরেজদের সংস্পর্শে এসে তার প্রসার ঘটলো। শ্রীরামপুর মিশনে ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বিজ্ঞানচিন্তার মুক্তি ঘটলো। একেবারে প্রথম পর্বে বিজ্ঞানের পরিভাষা নির্মাণে যিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন তিনি হলেন –  অক্ষয় কুমার দত্ত। আজ যারা তাকে অনুসরণ করেছিলেন তারা হলেন কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজেন্দ্রলাল মিত্র, ভূদেব মুখোপাধ্যায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রমূখ।

পরবর্তীকালে যে সকল ব্যক্তিরা বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন তাদের গ্রন্থ লেখার মাধ্যমে তারা হলেন এবং তাদের গ্রন্থ গুলি হল – জগদীশচন্দ্র বসুর ” অবক্ত ” , রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর ” জিজ্ঞাসা “, জগনানন্দ রায়ের ” বৈজ্ঞানিকী “, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ” বিশ্বপরিচয় “, চারুচন্দ্র ভট্টাচার্যের ” নব্য বিজ্ঞান ” ইত্যাদি। এছাড়াও যারা মাছ বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন তাঁরা হলেন প্রফুল্ল চন্দ্র রায় ও সত্যেন্দ্রনাথ বসু।

বিজ্ঞানের পরিভাষায় নির্মাণ

মাতৃভাষায় বিজ্ঞান চর্চা করতে গেলে প্রথমে পরিভাষা সংক্রান্ত বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। যেসব শব্দের পরিভাষা কঠিন সে ক্ষেত্রে ইংরেজী শব্দ কে বাংলায় লিখতে হবে। যেমন অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন এর জায়গায় অম্লজান ও উদজ্যান লেখা ঠিক হবে না কারণ এই দুটি শব্দ ইংরেজি নামে পরিচিত।

তাছাড়া বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু ও প্রফুল্ল চন্দ্র রায় দেখিয়েছেন কত সহজে মাতৃভাষার মাধ্যমে বিজ্ঞান চর্চা করা যায় ও একে আকর্ষণীয় করে তোলা যায়।

প্রতিবন্ধকতা

একথা ঠিক আমাদের দেশে বিজ্ঞান চর্চার প্রচার যতটা হওয়া উচিত ছিল তা কিন্তু হয়নি। তার কারণ দেশ-বিদেশে বিজ্ঞান চর্চা ও তার প্রকাশ ইংরেজিতে হয়। তার কিছু সুবিধাও আছে সংগত কারনেই বাংলায় বিজ্ঞান চর্চা সে ভাবে এগোতে পারিনি বিজ্ঞান চর্চা করতে গেলে যে প্রতিভার প্রয়োজন হয় তা ধারাবাহিকভাবে বাংলায় ঠিকভাবে আসেনি।

উপসংহার

একটা জাতির অগ্রগতির হার নির্ভর করে মানুষের জ্ঞান বুদ্ধির ওপর। জাতির উন্নতি কে ত্বরান্বিত করতে হলে মাতৃভাষার মাধ্যমে বিজ্ঞান চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই আজকের মানুষকে এ বিষয়ে সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে।


আরও পড়ুন ক্লিক করে –

বিশ্ব উষ্ণায়ন অনুচ্ছেদ রচনা

স্বচ্ছ ভারত অভিযান রচনা

বাংলার উৎসব রচনা


মাতৃভাষায় বিজ্ঞান চর্চা প্রবন্ধ রচনা | বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চা প্রবন্ধ রচনা | মাতৃভাষায় বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব | Matrivasa Rachana Bangla |

আশা করি মাতৃভাষায় বিজ্ঞান চর্চার এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে।

আপনাকে জানাই অনেক ধন্যবাদ রচনার এই পোস্টটি পড়ার জন্য।

এই পোস্টটি আপনার উপকারে আসলে বন্ধুবান্ধবের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।


পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Comment