পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার রচনা

পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার রচনা

পোস্টটি শেয়ার করুন

পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার রচনা। পরিবেশ দূষণ রচনা।

আপনি কি অনলাইনে পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার রচনা, পরিবেশ দূষণ রচনা ইত্যাদি সার্চ করছেন।

যদি তাই হয়, আপনি সঠিক পোস্টে এসেছেন।

আমদের অনেকের পরিক্ষার প্রশ্নে পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার রচনা আসে।

আমার এই পোস্টটি সমস্ত ক্লাসের জন্য খুব উপকার হবে।

এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল।

ভূমিকা

সুস্থ পরিবেশ যেখানে সুস্থ জীবন সেখানে। মানুষ যেখানে জন্ম গ্রহণ করে, বড়ো হয়ে ওঠে, যেখানে থাকে সেই স্থান ও তার চারপাশকে পরিবেশ বলা হয়।

এই পরিবেশের প্রভাব মানুষের দেহ মনকে গড়ে তোলে। ক্রমাগত পরিবেশ দূষণের ফলে এক ভয়াবহ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে – এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

Read In English – Environmental Pollution Essay

পরিবেশের শ্রেণীবিভাগ

পরিবেশ দু রকমের – ১) প্রাকৃতিক পরিবেশ ২) সামাজিক পরিবেশ।

বাসস্থান তার চারিপাশের গাছপালা, বন, নদী, প্রান্তর, পর্বত এসব নিয়ে হল প্রাকৃতিক পরিবেশ।

আর মানুষ যেখানে বাস করে সেই জায়গায় বসবাসকারী অন্যান্য মানুষের কার্যকলাপ, আচার আচরণ‌, চরিত্র হল সামাজিক পরিবেশ।

পরিবেশের প্রভাব 

প্রাকৃতিক ও সামাজিক এই দুই পরিবেশের মধ্যেই মানুষকে বসবাস করতে হয়। এবং মানুষের দেহ ও মনকে এই দুই পরিবেশ বিশেষভাবে প্রভাবিত করে থাকে।

প্রাকৃতিক পরিবেশ দূষণের ফলে আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। ফলে আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। পরিবেশ দূষণের প্রভাবে মানুষ নিত্যনতুন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। 

পরিবেশ দূষণ

পরিবেশ বিভিন্ন কারণে দূষিত হয়ে থাকে।‌ পরিবেশ দূষণকে বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায় – ১) বায়ু দূষণ ২) জল দূষণ ৩) মাটি দূষণ ৪) শব্দ দূষণ ৫) সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ দূষণ।

বায়ু দূষণ

অক্সিজেনের বিশুদ্ধতা নষ্ট হচ্ছে ধোঁয়া ও কার্বন ডাই অক্সাইড এর কবলে পড়ে। ফলে অক্সিজেনের পরিমাণ ক্রমশঃ কমে যাচ্ছে।

বায়ু বিভিন্ন কারণে দূষিত হচ্ছে যেমন – বর্তমান বিশ্বে নানারকমের মারণাস্ত্র, তেজস্ক্রিয় রশ্মি ও তেজস্ক্রিয় কণা, শিল্প – কলকারখানা থেকে নির্গত দূষিত গ্যাস, আবর্জনা, যানবাহনের জ্বালানি দ্বারা নির্গত গ্যাস ইত্যাদি।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বায়ুদূষণ বেড়েই চলেছে।

জল দূষণ

আজকের দিনে জল দূষণ এক বিরাট সমস্যা মানুষের কাছে।

কলকারখানা থেকে দূষিত বর্জ্য পদার্থ জলে মিশে জলের বিশুদ্ধতা নষ্ট করছে। এছাড়া পানীয় জল সরবরাহের উৎসগুলো দূষিত হচ্ছে। অন্যদিকে কলকারখানার কাঁচামালের চাহিদা পূরণ করার জন্য কীটনাশক ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে ফলে জল দূষিত হয়ে নানা ধরনের রোগের সৃষ্টি হচ্ছে।

জল দূষণের ফলে মানুষ ও জলচর প্রাণী উভয়েরই ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

মাটি দূষণ 

ভূমি দূষণের প্রধান কারণ হলো কৃষি ও শিল্প বিপ্লব। 

মাটি দূষণ বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে যেমন – চাষের জমিতে নানারকমের রাসায়নিক সার ও নানারকমের কীটনাশক ওষুধের ব্যবহার, শিল্প ও কলকারখানার বর্জ্য পদার্থ ও শহর,বস্তি, গ্রামের বিভিন্ন ধরনের আবর্জনা ইত্যাদি।

মাটি দূষণের ফলে নানা ধরনের রোগের বিস্তার ঘটছে।

শব্দ দূষণ

শব্দের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা আছে। অতিরিক্ত শব্দ  আমাদের এই পরিবেশকে দূষিত করছে।

শব্দ দূষণ বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে যেমন – যানবাহনের অতিরিক্ত শব্দ, কলকারখানার শব্দ, বিমানের শব্দ, বাজি পটকার আওয়াজ ইত্যাদি।

শব্দ দূষণের ফলে ছাত্র, রোগী ও শিশুদের মস্তিষ্কের ভারসাম্যকে নষ্ট করছে। অফিস আদালতের কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। এছাড়া অনেকের শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

পরিবেশ দূষণ প্রতিকারের উপায়

নানান ধরনের পরিবেশ দূষণ যেমন – বায়ু দূষণ,জল দূষণ, মাটি দূষণ, শব্দ দূষণ ইত্যাদির হাত থেকে বাঁচার জন্য আজ বিশ্বের সমস্ত মানুষকে একত্রিত হতে হবে।

সংবাদপত্র, টিভি, সোস্যাল মিডিয়া প্রভৃতির মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ প্রতিকারের প্রচার বাড়াতে হবে এবং এর সাথে ছাত্র ও ছাত্রীদেরকে সচেতন হতে হবে।

বায়ু দূষণ,জল দূষণ, মাটি দূষণ, শব্দ দূষণ ইত্যাদিতে ছাত্রেরা দলবদ্ধভাবে এগিয়ে এলে পরিবেশ দূষণ কমানো সম্ভব হবে।


আরও পড়ুন ক্লিক করে –

মাদার তেরেসার জীবনী

অনুচ্ছেদ লেখার নিয়ম 

তোমার প্রিয় লেখক


আমাদের পরিবেশ যদি সুন্দর হয় তাহলে পৃথিবীর এই সভ্যতা সুন্দরভাবে সেজে উঠবে।

এরজন্য আমাদেরকে সবার মাঝে শিক্ষাকে পৌঁছে দিতে হবে। আর তাই দারিদ্র্যের ক্রমবিলুপ্তি।

আমি ওপরে পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে।

এই পোস্টটি আপনার উপকারে আসলে বন্ধু – বান্ধবের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না


পোস্টটি শেয়ার করুন

Similar Posts

2 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *