প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ছাত্রসমাজ রচনা

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ছাত্রসমাজ রচনা

পোস্টটি শেয়ার করুন

আপনি কি অনলাইনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ছাত্রসমাজ রচনা, Prakritik Durjog Essay in Bengali  খুঁজছেন

যদি তাই হয়, 

আপনি সঠিক পোস্টে এসেছেন।

আমি এই পোস্টটিতে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি – প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ছাত্রসমাজ রচনা,প্রাকৃতিক দুর্যোগ রচনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ছাত্র সমাজের ভূমিকা, ইত্যাদি।

আমার এই পোস্টটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ রচনার দারুন নোট।  আপনি পরীক্ষায় যদি এই রচনাটি লিখতে পারেন তাহলে আপনি ফুল মার্কস পাবেন।

পোস্টটিকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইল।

prakritik durjog essay in bengali
prakritik durjog essay in bengali 

Prakritik Durjog Essay in Bengali 

ভূমিকা –

মানুষের জীবনে কখন বিপদ আসবে তা কেউ সঠিক করে বলতে পারেনা। সামাজিক জীবনে বা কোন দেশের উপর কখন প্রকৃতি তার তাণ্ডবলীলা সৃষ্টি করবে তা কেউ নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনা।

প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলতে আমরা বুঝি ভূমিকম্প, প্রবল বন্যা, ঝড়, দাবানল ইত্যাদি।

আদিমকাল থেকে মানুষ এই সমস্ত প্রাকৃতিক বিপর্যয় এর সঙ্গে সংগ্রাম করে এসেছে।

প্রকৃতির অবদান

সৃষ্টিকর্তা যখন আমাদের পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তখন সমস্ত প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রকৃতির মধ্যে তিনি দিয়ে রেখেছেন।

প্রকৃতি থেকে আমরা পাই যেমন আলো বাতাস ইত্যাদি। এর মধ্যে একটি না পেলে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।

প্রকৃতির মধ্যে আমরা যে ভূমি পেয়েছি তা দিয়ে আমরা আমাদের খাদ্যাভাব মেটায়।

প্রকৃতিকে ব্যবহার ও অব্যবহার

পৃথিবীর বুকে মানুষ ফসল ফলিয়ে জয়যাত্রা সূচনা করেছিল তারপর প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে মানুষ নানান আবিষ্কারের মেতে ওঠে।

ধীরে ধীরে মানুষের প্রত্যাশা বাড়তে থাকে ফলে প্রকৃতিকে মানুষ অপব্যবহার করতে শুরু করে তার ফলে আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন খরা, বন্যা, ভূমিকম্প, সুনামি ইত্যাদির মতো বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছি।

আরও পড়ুন ক্লিক করে – বাংলা অনুচ্ছেদ লেখার নিয়ম 

আরও পড়ুন ক্লিক করে – ইংরেজি রচনা লেখার নিয়ম

প্রাকৃতিক দুর্যোগ খরা 

বৃষ্টির অভাবে বা প্রয়োজনীয় জলের অভাবে খরার সৃষ্টি হয়।

খরার কারণ গুলি হল যেমন –  বৃষ্টিপাতে ঘাটতি, জল বন্টন এর ভারসাম্য জনিত অভাব, প্রচুর পরিমাণে জলের অপচয় ও কৃষি জমিতে অধিক জলের ব্যবহার করার ফলে ফসল উৎপাদন করা যায় না, বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় না আর তার সাথে প্রাণহানির অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা 

ক্রমাগত বৃষ্টিপাতের ফলে নদী-নালা যখন জল ধারণে অক্ষম হয়ে ওঠে তখনই বন্যার সৃষ্টি হয়।

মৌসুমী মেঘের দমন বর্ষণের ফলে এবং বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার ফলে ভয়ংকর বন্যা আমাদের চোখে পড়ে চারিদিকে দেখা যায় তখন বন্যার তান্ডব।

বন্যার ফলে প্রাণী ও উদ্ভিদ বিপদের সম্মুখীন হয়। মানুষের ঘরবাড়ি ভেসে যায়, জলের তলায় তলিয়ে যায় কত ঘরবাড়ি কত জিবন্ত মানুষ, পশু ইত্যাদি এছাড়া বন্যার ফলে মহামারী দেখা যায় খাদ্যের অভাব, দেখা যায় মানুষের বাসস্থানের অভাব দেখা যায় ইত্যাদি।

আমাদের দেশে এই বন্যা আর ভয়ঙ্কর রূপ দেখা যায় সাধারণত ফেরত মৌসুমী মেঘে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে শেষদিক করে।

ভূমিকম্প

প্রাকৃতিক কারণে যেরকম ভূমিকম্প হয় তেমনি মানুষের কিছু অসঙ্গত কার্যকলাপের ফলেও ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়। ভূত্বকের সঞ্চরণশীল প্লেটগুলো কাছাকাছি চলে এলে, ভূপৃষ্ঠের সংকোচন বেড়ে গেলে বা পার্বত্য অঞ্চলে ধ্বস নামে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়।

এছাড়া পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা করা, ডিনামাইটের ব্যবহার করা, নদীতে বাধ দেওয়ার ফলেও ভূমিকম্প সংঘটিত হয়।

হঠাৎ ভূমিকম্পের ফলে ঘরবাড়ি এবং মাটির নিচে চাপা পড়ে যায় বহু লোক, যারা পুরোপুরি চাপা পড়ে না তারা আহত হয়ে চিৎকার করতে থাকে আর এই ভয়ঙ্কর খবর পেয়ে চারদিক থেকে মানুষ দৌড়াদৌড়ি শুরু করে আর আর্তনাদ করতে থাকে।

এছাড়া হঠাৎ ভূমিকম্পের ফলে মানুষের বসতি অঞ্চলগুলো মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়, নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয় ও জলাভূমি সৃষ্টি হয়।

সুনামি

সুনামি হলো সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস। সুনামি হলো একটি জাপানি শব্দ যার অর্থ হলো কদরের ঢেউ আসলে এটি সমুদ্রের ঢেউ।

এই ঢেউ এতটাই তীব্র ও বিধংসী যে উপকূলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল বিধ্বস্ত করে দেয়। 

সুনামির ফলে সমুদ্রের উপকূলবর্তী অঞ্চলে হয়ে যায় ব্যাপক প্রাণহানি হয়, সমুদ্রের জীব বৈচিত্র নষ্ট হয়ে যায় ও সমুদ্রের জল দূষিত হয়।

হঠাৎ আগুন লাগা

হঠাৎ আগুন লাগা হলো আর একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আগেকার দিনে ছিল দাবানল দাবানলের আগুন এ ধরনের গাছ গুলো পড়ে যেত তার সাথে অনেক বসতবাড়ি অনেক দোকানপাট পুড়ে যেতে।

বর্তমানকালে হঠাৎ আগুন লাগার ফলে নিমেষের মধ্যে অনেক গুদামঘর দোকানপাট অফিস-আদালত পুড়ে যায় বর্তমানে আগুন নেভাবার দমকল আছে কিন্তু সেই দমকল আসার আগে অনেক পুড়ে যায়।

আরও পড়ুন – ছাত্র জীবনে খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা 

প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ছাত্র সমাজের ভূমিকা 

আগামীদিনের নাগরিক ছাত্র সমাজে এই রকম প্রাকৃতিক বিপর্যয় এর ক্ষেত্রে তাদের কিছু দায়বদ্ধতা থাকে এক্ষেত্রে তারা যা যা করতে পারে তা হল –

প্রথমত 

ছাত্ররা সরাসরি উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে মানুষ যে রকম বাঁচাতে পারে তেমনি ত্রাণের ব্যবস্থাও করতে পারে।

তারা নিজেরা চাঁদা তুলে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ক্ষতিগ্রস্ত দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে পারে অথবা কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সেবামূলক কাজ করতে পারে।

দ্বিতীয়ত 

যে সমস্ত মানুষদের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে তাদের ঘরবাড়ি নষ্ট হয়ে গিয়েছে তাদের জন্য ছাত্রসমাজ অন্য জায়গায় বসবাসের ব্যবস্থা করতে পারে।

ছাত্র-ছাত্রীরা বিপন্ন মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য অভিভাবকদের চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করতে পারে।

তৃতীয়ত 

ছাত্র-ছাত্রীরা লেখালেখির মাধ্যমে অসহায় মানুষদের প্রকৃত অবস্থা মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারে।

যার মধ্য দিয়ে মানুষের মানবিক প্রবৃত্তিকে ভালো কিছু করার জন্য প্রভাবিত করতে পারে।

উপসংহার

জাতীয় বিপর্যয় দিনে ছাত্রসমাজকে চুপ করে বসে থাকলে হবে না তাদের সভ্যতা ও সতর্ক হতে হবে।

দুর্গত মানুষদের আপন ভেবে পাশে দাঁড়াতে হবে। সেটাই হবে মনুষত্বের যথার্থ পরিচয়।

ছাত্র সমাজে তরুণ মোহন এবং অপরিসীম শক্তি বিপন্ন মানুষকে বিপদ কাটিয়ে সুস্থ ও নিরাপদ জীবনে টেনে নিয়ে আসতে পারে তাই এই ছাত্র সমাজের ওপর আমরা গভীর আশা রেখে থাকি।


আরও পড়ুন – সাহিত্য পাঠের প্রয়োজনীয়তা

আরও পড়ুন – ছাত্র জীবন সৌজন্য ও শিষ্টাচার রচনা

আশা করি এই পোস্টটি থেকে আপনি –  প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ছাত্রসমাজ রচনা  ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ছাত্র সমাজের ভূমিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

আশা করি প্রাকৃতিক দুর্যোগ রচনার এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে।

আপনাকে জানাই অনেক ধন্যবাদ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও তার প্রতিকার রচনার পোস্টটি পড়ার জন্য।

এই পোস্টটি আপনার উপকারে আসলে বন্ধুবান্ধবের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।


পোস্টটি শেয়ার করুন

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *