শেরশাহের ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা

শেরশাহের ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা

পোস্টটি শেয়ার করুন

আপনি কি অনলাইনে শেরশাহের ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইছেন,

যদি তাই হয়, 

আপনি সঠিক পোস্টে এসেছেন।

আমি এই পোস্টটিতে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি – শেরশাহের ভূমি রাজস্ব,শেরশাহের ভূমি সংস্কার , শেরশাহের শাসন ব্যবস্থা ইত্যাদি।

আমার এই পোস্টটি শেরশাহের ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থার ( ইতিহাসের ) দারুন নোট।  আপনি পরীক্ষায় যদি এই নোটটি  লিখতে পারেন তাহলে আপনি ফুল মার্কস পাবেন।

পোস্টটিকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইল।

শেরশাহের ভূমি রাজস্ব

শেরশাহের শাসন ব্যবস্থার অন্যতম উজ্জ্বল দিক হলো তার রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কার।

তার রাজস্ব ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য ছিল যাতে সরকার তার অধিকার হতে বঞ্চিত না হয় এবং প্রজারা অযথা উৎপীড়িত না হয়।

রাজস্বের হার নির্ধারণের জন্য তিনি সাম্রাজ্যের অধিকাংশ অঞ্চলের জমি জরিপ করার আদেশ দেন এবং প্রজাদের নিকট হতে সরাসরি কর আদায়ের ব্যবস্থা করেন।

সাধারণত উৎপন্ন শস্যের এক-তৃতীয়াংশ বা এক-চতুর্থাংশ রাজকোষে দেয় কর রূপে নির্ধারিত হয়েছিল। উৎপন্ন শস্য অথবা অর্থে কর দেওয়া যেত। তিনি কর নির্ধারণে উদার নীতি গ্রহণ করলেও কর আদায়ের ক্ষেত্রে কোন ঔদার্যের পক্ষপাতী ছিলেন না।

রাজস্ব আদায়ের জন্য বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ করা হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে বা সৈন্য চলাচলের জন্য শস্যহানি ঘটলে কর রেহাই দেয়া হতো।

রাজকোষ হতে কৃষি ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থাও ছিল। শেরশাহ প্রজাদের জমির ওপর অধিকার নির্ধারণের জন্য কবুলিয়াত ও পাট্টা প্রথার প্রবর্তন করেন। কবুলীয়ত রাজকীয় অধিকার ও পাট্টা প্রজাদের অধিকারের নির্দেশক ছিল।

শেরশাহ প্রবর্তিত রাজস্ব সংক্রান্ত সংস্কারের ফলে কৃষকরা খুবই উপকার পেয়ে ছিল। তাঁর প্রবর্তিত রাজস্ব সংস্কার ভারতবর্ষের রাজস্ব ব্যবস্থার বুনিয়াদ বলে অনেকে মনে করেন।

ভূমি রাজস্ব ছাড়া শুল্ক-কর জিজিয়া যাকাত ও বিভিন্ন দ্রব্য সম্ভারের ওপর শুল্ক হতে সরকারের আয় হতো।

আধুনিক ঐতিহাসিকগণ শেরশাহের ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থার প্রশংসা করেছেন।

তিনি ভূমি রাজস্ব ক্ষেত্রে মধ্যস্বত্বভোগীদের উৎখাত করতে চেয়ে ছিলেন। তবে জায়গীর প্রথা ও জমিদারি প্রথা সাম্রাজ্যের কোন কোন অঞ্চলে থেকে যায়। শেরশাহের রাজস্ব নীতি প্রশংসার দাবি রাখে।

শেরশাহ জমি জরিপ করে রাজস্ব নির্ধারণ করেন। ভূমি রাজস্ব ব্যাপারে শেরশাহ আধুনিক মনোবৃত্তির পরিচয় দেন। তার নীতি অনুসরণ করে পরবর্তীকালে আকবর তার রাজস্ব নীতি তৈরি করেন। তাই ভূমির রাজস্বের ক্ষেত্রে শেরশাহ একজন সফল ব্যক্তি।


আরও পড়ুন ক্লিক করে –

মনসবদারি প্রথা

দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা

দেওয়ানি লাভ


আশা করি এই পোস্টটি থেকে আপনি –  শেরশাহ ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা,শেরশাহের ভূমি সংস্কার , শেরশাহের শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

আশা করি শেরশাহ ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থার এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে।

আপনাকে জানাই অনেক ধন্যবাদ এই পোস্টটি পড়ার জন্য।

এই পোস্টটি আপনার উপকারে আসলে বন্ধুবান্ধবের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।


পোস্টটি শেয়ার করুন

Similar Posts

2 Comments

  1. খুব ভালো
    এমনি ভাবেই সাহায্য করে রান
    ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *