ছাত্র জীবনে সৌজন্য ও শিষ্টাচার রচনা
আপনি কি ছাত্র জীবনে সৌজন্য ও শিষ্টাচার রচনা সম্পর্কে জানতে চান
যদি জানতে চান,
তাহলে আপনি সঠিক পোস্টে এসেছেন।
আমি এই পোস্টটিতে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি – ছাত্র জীবনে সৌজন্য ও শিষ্টাচার রচনা, ছাত্র জীবনে সৌজন্য ও শিষ্টাচার প্রবন্ধ রচনা, ছাত্র জীবনে সৌজন্য ও শিষ্টাচার।
এই পোস্টটি প্রথম থাকে শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো।
ভূমিকা
ছাত্ররা হল প্রত্যেক দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিক। নাগরিক হিসেবে ব্যক্তিত্বের যথাযথ বিকাশের জন্য সৌজন্য ও শিষ্টাচার – এই দুই উপাদান অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বর্তমান কালে সৌজন্য ও শিষ্টাচারের এই দুই য়ের অভাব বড়ো প্রকোট। নিজের দেশের স্বার্থে ছাত্রজীবনে এই দুই গুণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
ছাত্র জীবনে সৌজন্য ও শিষ্টাচার
‘ সৌজন্য ‘ কথার অর্থ হল সুলভ আচরণ। দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশ সুলভ আচরণের আশা করে। কারণ ব্যক্তি মানুষের সৌজন্যের উপর সমাজে সুস্থতা নির্ভর করে।
শিষ্টাচার ‘ কথার অর্থ বলতে আমরা বুঝি ভদ্র আচরণ। ভদ্রতা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত গুণ নয়। কোন ব্যক্তির ভদ্রতা প্রকাশের মধ্য দিয়ে সমাজ সুন্দর ও সুস্থ থাকে।
আরও পড়ুন ক্লিক করে – বাংলা অনুচ্ছেদ লেখার নিয়ম
সৌজন্য ও শিষ্টাচারের পরিবর্তন
পরিবর্তনশীল এই পৃথিবীতে সবকিছুর সঙ্গেও সৌজন্য ও শিষ্টাচারের পরিবর্তন ও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অতীতকালে একজন মানুষ সমাজে তাঁর সৌজন্য ও শিষ্টাচারের জন্য ভদ্র বলে পরিচিতি লাভ করত। নিজেকে সম্মানিত করেও আনন্দিত হতো। কিন্তু এখন বর্তমানে দেখা যাচ্ছে কোন অতিথির সঙ্গে খারাপ আচরণ করে, অসম্মানিত করে মানুষ আনন্দ পাচ্ছে।
অতিথি বাড়িতে আসলে আমরা শুধু চা খাইয়ে বিদায় করি। অতীতে যে শৃঙ্খলা বোধ, ধর্মবোধ, মূল্যবোধ ইত্যাদির প্রচলন ছিল। কিন্তু বর্তমানে টেকনোলজির যুগে সে গুলো ধীরে ধীরে মুছে যাচ্ছে।
ছাত্র জীবনে সৌজন্য ও শিষ্টাচারের গুরত্ব
ছাত্র জীবনে সৌজন্য ও শিষ্টাচারের গুরত্বপূর্ণ দিকগুলো হলো –
১. আমরা সকলেই জানি ছাত্র ছাত্রীদের জীবন শিক্ষার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। তাই আমরা সকলেই কামনা করবো তাদের কাছে মনুষ্য বৃত্তির স্বরুপ বেশি পরিমাণে থাকবে।
২. মানুষের অন্তর জয় করার সহজ উপায় হলো সৌজন্য ও শিষ্টাচার। তাই ছাত্র জীবন সৌজন্য ও শিষ্টাচারের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হওয়া দরকার।
৩. সৎভাবে জীবনে কাজ করে প্রতিষ্ঠিত হতে গেলে ছাত্র জীবনে সৌজন্য ও শিষ্টাচার দরকার।
৪. সৌজন্য ও শিষ্টাচার মানুষকে আন্তরিক ও সরল স্বভাবের করে তোলে।
৫. একজন মানুষ যেভাবে অপরের কাছ থেকে ভালোবাসা পেতে চায়। ঠিক তেমনি অপরজন ও অন্যের কাছ থেকে ভালোবাসা পেতে চায়। একেই বলে শিষ্টাচার। শিষ্টাচার মানুষের মধ্যে আনে নিরপেক্ষতা বোধ ও স্বার্থ ত্যাগের মন্ত্র যা ছাত্র জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য কারণ এর মধ্যে দিয়েই একজন শিক্ষার্থী সমাজের একজন হয়ে ওঠে।
সৌজন্য বোধহীন ও শিষ্টাচার হিনতার কারণ
ড্রেস পোশাক, অলংকার ইত্যাদি যেমন দেহের সৌন্দর্য কে বাড়িয়ে তোলে তেমনি সৌজন্য ও শিষ্টাচার হল মানবতার মাধুর্য্য। কিন্তু বর্তমানে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে এই জিনিসটা দেখা যাচ্ছে না। এখন ছাত্র ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের মূল লক্ষ্য হল পরীক্ষায় ভালো ফল করা আর একটা চাকরি করে অর্থ রোজগার করা।
মানবিক গুণাবলীর বিকাশ খুব একটা গুরুত্ব পায় না। আজকের ছাত্র ছাত্রীরা প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার জন্য মিথ্যা কথা বলতেও দ্বিধা করে না।
ছাত্র জীবনে প্রতিবন্ধকতা দৃরকরার উপায়
পৃথিবী ব্যাপি খ্যাত মানুষগুলোর মূলে ছিল তাদের ভদ্র ও মার্যিত আচরণ যা তাদের ব্যক্তিত্বকে দিয়েছিল আলাদা মর্যাদা। ছাত্র ছাত্রীদের এইসমস্ত মানুষদের জীবনী থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
ঔধত্য ও অহমিকাকে বিসর্জন দিতে হবে। ছাত্র ছাত্রীদের সহনশীল হতে হবে কারণ সহনশীল না হলে সৌজন্য ও শিষ্টাচার আসে না। এছাড়াও অলসতাকে বিসর্জন দিতে হবে কারণ এটাই হল অসৌজন্য ও ও ভস্ট্রাচারের আতুঁর ঘর। ছাত্র ছাত্রীরা সরলতা ও ভদ্রতার সহিত মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে সুজন ও সদাচারী হয়ে উঠলে সমাজের মঙ্গল হবে।
উপসংহার
প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীকে সৌজন্য ও শিষ্টাচার সম্পর্কে বুঝতে হবে কারণ সৌজন্য ও শিষ্টাচার মানবজীবনের দুই আবশ্যক বিষয়। যদি এ দুটির স্বাদ তারা যথাযথভাবে পায় তাহলে যথার্থ মানুষ হয়ে ওঠার পথ থেকে বিচ্যুত হবে না। তারা যদি সৌজন্য ও শিষ্টাচার শিখে যথার্থ মানুষ হয়ে ওঠে তা আমাদের সকলের কাছে আশার আলো।
আরও পড়ুন – পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার রচনা
আরও পড়ুন – ইংরেজি রচনা লেখার নিয়ম
আশা করি আপনি ছাত্র জীবনে সৌজন্য ও শিষ্টাচার রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন।
আশা করি ছাত্র জীবনে সৌজন্য ও শিষ্টাচার প্রবন্ধ রচনার পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের ওয়েবসাইটে এসে পোস্টটি পড়ার জন্য।
ছাত্র জীবনের এই পোস্টটি বন্ধু – বান্ধবের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো।