স্বচ্ছ ভারত অভিযান রচনা / Swachh Bharat Abhiyan Bengali Rachana
আপনি কি অনলাইনে স্বচ্ছ ভারত অভিযান রচনা / Swachh Bharat Abhiyan Bengali Rachana খুঁজছেন,
যদি তাই হয়,
আপনি সঠিক পোস্টে এসেছেন।
আমি এই পোস্টটিতে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি – স্বচ্ছ ভারত অভিযান বাংলা রচনা,স্বচ্ছ ভারত অভিযান প্রবন্ধ রচনা , Swachh Bharat Abhiyan Bengali Rachana ইত্যাদি।
আমার এই পোস্টটি স্বচ্ছ ভারত অভিযান রচনার দারুন নোট। আপনি পরীক্ষায় যদি এই রচনাটি লিখতে পারেন তাহলে আপনি ফুল মার্কস পাবেন।
পোস্টটিকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইল।
স্বচ্ছ ভারত অভিযানের ভূমিকা
” স্বাধীনতার চেয়ে স্বাস্থ্যবিধি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ” – এই মন্তব্যটি করেছিলেন জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী স্বাধীনতার আগে। গান্ধীজীর এই মন্তব্যটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অনুভব করেছিলেন পরাধীন ভারতবর্ষের চূড়ান্ত অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। তিনি ভারতবর্ষের মানুষের প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় পরিবেশ পরিছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধির সচেতন এর উপর জোর দিয়েছিলেন।
স্বাধীনতা লাভের প্রায় 70 বছর পর গান্ধীজির সেই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে অর্থাৎ সমাজকে কলুষমুক্ত করতে ও নির্মল ভারতের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার স্বচ্ছ ভারত অভিযান কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল।
স্বচ্ছ ভারত অভিযানের সূচনা
২রা অক্টোবর 2014 সালে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর 145 তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আমাদের ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বচ্ছ ভারত অভিযান কর্মসূচির সূচনা করেন। এই অভিযানের সময় সীমার শেষ হবে জাতির জনকের 150 তম জন্মবার্ষিকী 2019 খ্রিস্টাব্দে।
সারা বিশ্ববাসীর কাছে ভারতবর্ষকে একটি স্বচ্ছ নির্মল দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশবাসীকে সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। এই অভিযান এর সূচনা তেও দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাজপথে নেমেছেন।
আরও পড়ুন ক্লিক করে – তোমার প্রিয় লেখক
আরও পড়ুন ক্লিক করে – ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির জীবনী
দেশবাসীর অংশগ্রহণ
এই স্বচ্ছ ভারত অভিযানে দেশের প্রায় ত্রিশ লক্ষ সরকারি কর্মচারী এবং কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের প্রচার অভিযানে দেশের 9 জন বিখ্যাত ব্যক্তি কে নির্বাচিত করেছিলেন। যারা নিজের নিজের এলাকার নিজেদের সুবিধামতো জনগণের সঙ্গে যুক্ত হবে এবং এই কাজ করবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও অনুরোধ করেছেন এই 9 জন বিশিষ্ট ব্যক্তি যেন আরো 9 জন মানুষকে মনোনীত করেন যারা এই প্রচার কর্মসূচিতে শামিল হবে। নিজের নিজের এলাকার মানুষদের নিয়ে এইভাবে 9 জনের শৃঙ্খলাবোধ একসময় শাখা প্রশাখা যুক্ত বৃক্ষের মত হয়ে দাঁড়াবে এবং সমগ্র দেশে এই অভিযানের কাজ ছড়িয়ে পড়বে।
জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী লক্ষ্য করেছিলেন পরাধীন ভারতবর্ষে দরিদ্র মানুষদের মধ্যে স্বচ্ছতা ও সচেতনতা বলে কিছু নেই। স্বাধীনতার পর 70 বছর কেটে গেলেও আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে যে পরিছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি গড়ে উঠেছে এমন নয়।
এখনো ভারতবর্ষে কোটি কোটি মানুষের বাড়িতে শৌচাগার নেই তাই ভারত সরকার এই কর্মসূচি নিয়েছে যে যেসব এলাকায় শৌচাগার নেয় যাদের বাড়িতে শৌচাগার নেই তাদের বাড়িতে এবং সেইসব এলাকায় শৌচাগার করিয়ে দেবার। কারণ প্রতিটি বাড়িতে এলাকায় শৌচাগার না থাকলে রোগজীবাণু প্রাদুর্ভাব বেশি হয়ে পড়ে।
তাই মানুষ যাতে শৌচাগার কে ব্যবহার করে ওর স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে নিজেরা সচেতন হয় তার জন্য দেশের প্রতিটি ব্লকে তুমুল তৎপরতা শুরু হয়েছে ও প্রচার অভিযান চলছে এর মূল লক্ষ্য হলো 2019 সালের মধ্যে দেশকে স্বচ্ছ নির্মল করে তুলতে হবে।
উপসংহার
একটা জিনিস ভাবতে অবাক লাগে আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ সকালে খোলা জায়গায় মলমূত্র পরিত্যাগ করে। কিন্তু আমাদের দেশ ভারত বর্ষ একবিংশ শতকে মঙ্গল গ্রহে অভিযান চালিয়েছিল স্বল্প খরচে মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ দিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল।
দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি সম্মতভাবে উন্নয়ন জীবনযাপনও কাম্য। তাই ভারতবর্ষের প্রতিটি কোণে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের বার্তা সকলের কাছে পৌঁছে দেয়া জরুরি যা আমাদের কর্তব্য। গান্ধীজীর এই স্বপ্নকে সফল করতে গেলে এ অভিযানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের সকলকে একসাথে সামিল হতে হবে।
আরও পড়ুন ক্লিক করে –
বাংলার ঋতু বৈচিত্র্য প্রবন্ধ রচনা
আশা করি এই পোস্টটি থেকে আপনি – স্বচ্ছ ভারত অভিযান রচনা / Swachh Bharat Abhiyan Bengali Rachana সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
আশা করি স্বচ্ছ ভারত অভিযান রচনার এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে।
আপনাকে জানাই অনেক ধন্যবাদ এই রচনার পোস্টটি পড়ার জন্য।
এই পোস্টটি আপনার উপকারে আসলে বন্ধুবান্ধবের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।