করোনা ভাইরাস

করোনা ভাইরাস, কোভিড – ১৯।

পোস্টটি শেয়ার করুন

করোনা ভাইরাস, বিশ্বে করোনা ভাইরাস, করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি, করোনা ভাইরাসের লক্ষণ, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়।

চিনের গোয়াংদং প্রদেশের গুয়ানঝাউ শহরটি ভৌগলিক অবস্থার কারণে বাণিজ্য – নগরীর চেহারা নিয়েছে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সদা ব্যস্ত। রাস্তায় গিজগিজ করে বিদেশি। গভীর রাতেও ট্রাফিক জ্যামের বিরাম নেই। ভোররাতে ও গাড়ির আওয়াজ দিব্যি শোনা যায়। চিনের ইউহান শহর, বেজিং, সাংহাই, জিয়ান ইত্যাদি জায়গায় করোনার আগের ছবিটা ছিল অন্যরকম।

করোনা ভাইরাস চীনের অবস্থা

দিনের পর দিন চিনে নভেল করোনা ভাইরাস ব্যাপক আকার ধারণ করছে ফলে চিনের সমস্ত শহরের ছবিটাও এখন আলাদা হয়ে গেছে।  

হঠাৎ করে চিনের শহরগুলি কেমন অচেনা লাগছে। রাস্তাঘাট প্রায় জনমানবহীন। ভরদুপুরেও পথে হাতেগোনা লোক। মেট্রো স্টেশনের চেনা ভিড় উধাও। তবু নজরদারিতে ফাঁকি নেই।

স্টেশন ঢোকার মুখে প্রত্যেক যাত্রীকে দাঁড় করিয়ে দেখে নেওয়া হচ্ছে গায়ে জ্বর আছে কি না। সন্দেহ হলেই বলা হচ্ছে হাসপাতালে চলে যান। হাসপাতালগুলিতেও দিন রাত এক করে ফেলেছে ডাক্তার – নার্সেরা। 

সবাইকে বলা হচ্ছে বাইরের খাবার এড়িয়ে যেতে। 

নিয়ম করেও স্বাস্থ্য পরীক্ষাও চলছে গোটা শহরে।

চিনে দিনের পর দিন মৃত্যু বেড়ে চলেছে ও আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে।  করোনা ভাইরাস চীনের অবস্থা, নভেল করোনাভাইরাসে প্রায় ২ হাজার ৩৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে আর প্রায় ৭৬ হাজার ২৮৮ জন  মানুষ আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

এই ভাইরাস – এর  আতঙ্ক সবচেয়ে বেশি ছাপ ফেলেছে বেজিং, সাংহাই, জিয়ান এবং তিয়ানজিনে। চিনের বেশ কিছু এলাকা পর্যটকদের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। 

 কিন্তু মেডিক্যাল ফার্ম, ওষুধ সরবরাহকারী এবং সুপার মার্কেটের মতো অতি প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।

বিশ্বে করোনা ভাইরাস

করোনা ভাইরাসের সঙ্গে বিশ্ব এখন নতুন সমস্যার সম্মুখীন।

 গোটা বিশ্ব এখন সমস্ত কিছু ছেড়ে দিয়ে অজানা নভেল করোনা ভাইরাস কিভাবে কমানো যায় তা নিয়ে ব্যস্ত। 

করোনা ভাইরাস চিনের ইউহান থেকে শুরু হলেও এখন চারিদিকে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।

 বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে বিভিন্নরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে। 

তবে শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয়, অন্য মহাদেশেও ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। 

নভেল করোনা ভাইরাসে বিশ্বে প্রায় ৫১৯০৫০ জনের  মিত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে  এবং প্রায় ১০৮০৯৯৯৮ জন মানুষের আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সুস্থ হয়েছে – ৬০৩২৩৮১ জন মানুষ।

করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি

করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি সম্পর্কে এখনও সঠিক ধারণা পাওয়া যায় না। করোনা ভাইরাস কি করে এত তাড়াতাড়ি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে তা নিয়ে ভাবতে ব্যস্ত চিনসহ গোটা বিশ্ব।

ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা এই ভাইরাস সম্পর্কে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।

সার্স এর মতো দ্রুত সংক্রামিত হয় করোনা ভাইরাস। 

ভেল করোনাভাইরাস পশু পাখি বা গবাদিপশুর শরীরে পাওয়া যায়। 

এই ভাইরাস সরাসরিভাবে পশু পাখি বা গবাদিপশুর শরীর থেকে মানুষের শরীরের মধ্যে আসতে পারে। আবার মানুষ থেকে মানুষের মধ্যেও ছড়াতে পারে।

২০০৩ সালে সার্স ভাইরাসও বিশাল আকার ধারণ করেছিল। লক্ষণগুলোও করোনা ভাই – রাসের মতো ছিল। সেই সময়ও বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

করোনা ভাইরাসের লক্ষণ 

১। করোনা ভাইরাসের লক্ষণ অনেকটা নিউমোনিয়ার মতোই।

২। শুরুতে জ্বর ও শুষ্ক কাশি সহ শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।

৩। প্রাথমিকভাবে জ্বর, সর্দি – কাশি, পরে ভয়াবহ শ্বাসকষ্ট হয়।

৪। সংক্রমণ সঙ্গে সঙ্গে বোঝা যায় না। উপসর্গ প্রকোট হতে ২ – ১৪ দিন সময় লাগে।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

১। মাক্স ব্যবহার করতে হবে।

২। অন্ততঃ ২০ সেকেন্ড সময় ধরে বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৩। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে।

৪। হাত না ধুয়ে নাক, মুখ, চোখে হাত দেওয়া যাবে না।

৫। জ্বর, শুষ্ক কাশি সহ শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

৬। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির ৩ ফুট ব্যাসার্ধের মধ্যে না আসা।

বিস্তারিত জানুন – করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় : কি করবেন , কি করবেন না।

উপসংহার

আমি এই পোস্টটিতে করোনাভাইরাস সম্পর্কে আলোচনা করেছি। 

 করোনা ভাইরাস চীনের অবস্থা, বিশ্বে করোনা ভাইরাস, করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি, করোনা ভাইরাসের লক্ষণ, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করেছি।

আশা করি এই পোস্টটি থেকে আপনি অনেক কিছু জানতে পেরেছেন।


পোস্টটি শেয়ার করুন

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *