ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের অবদান

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের অবদান

পোস্টটি শেয়ার করুন

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের অবদান

আমরা সকলে ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক সম্পর্কে জানতে খুব আগ্রহী থাকি ।

তাই আমরা অনলাইনে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের সার্চ করি যেমন – ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের অবদান, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কার্যাবলী, ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক সম্পর্কে তথ্যাবলী, ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক ইত্যাদি।

আপনাদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর নিয়ে এই পোস্টটি লেখা হয়েছে।

আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।

এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া কবে প্রতিষ্ঠিত হয়

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের অবদান – হিল্টন ইয়ং কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক আইন, ১৯৩৪ – কে বলবত করে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হল ১৯৩৫ সালে এপ্রিল মাসে।

১৯৪৭ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত RBI বার্মা ( মায়ানমার ) – র কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে কাজ করেছিল। 

১৯৪৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত RBI পাকিস্তানেরও কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে কাজ করেছে। 

 ১৯৪৯ সালে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের জাতীয়করণ হয়েছিল। 

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের প্রথম গভর্নর কে

 যদিও RBI এর প্রথম গভর্নর ছিলেন স্যার ওসবোর্ন স্মিথ কিন্তু এর প্রথম ভারতীয় গভর্নর ছিলেন সি.ডি.দেশমুখ ।

আরও পড়ুন ক্লিক করে – ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সম্পর্কে জানুন

আরও পড়ুন ক্লিক করে – ভারতের হাইকোর্ট সম্পর্কে জানুন

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কার্যাবলী

১। আর্থিক স্বাতন্ত্র্য ও স্হায়িত্ব বজায় রাখা যাতে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ব্যাহত না হয়।

২। ব্যবসা বাণিজ্য যাতে ব্যহত না হয় সেই জন্য আর্থিক সুস্হিরতা বজায় রাখা, সঠিক আর্থিক নীতি প্রণয়ন করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলির কার্যাবলী অক্ষুন্ন রাখা।

৩। আর্থিক লেনদেন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য যথাযথ পেমেন্ট ব্যবস্থার প্রচলন।

৪। সমগ্র দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য আর্থিক পরিকাঠামোর উন্নতি সাধন।

৫। যথাযথ ক্রেডিট অ্যালোকেশন সুনিশ্চিত করা।

৬। মূল্য স্হায়িত্বের জন্য সামগ্রিক অর্থ ও ধারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা।

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের ভূমিকা

এবার আমরা ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের ভূমিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। যেমন –

১।  টাকা সংক্রান্ত

১ টাকার টাকা / মুদ্রা ব্যতীত সমস্ত কারেন্সি নোট ছাপার একমাত্র কর্তৃপক্ষ হল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক। টাকা সংক্রান্ত দিক দিয়েও ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের অবদান খুবই উল্লেখযোগ্য ।

১ টাকার মুদ্রা/টাকা কেন্দ্রীয় সরকার ইস্যু করে কিন্তু RBI সার্কুলেট করে। প্রসঙ্গত, ১ টাকার নোটে ফিনান্স সেক্রেটারির স্বাক্ষর থাকে। কয়েন / বুলিয়ন, ফরেন সিকিউরিটি, রুপি, জি – সেক, বিল অফ এক্সচেঞ্জকে সিকিউরিটি হিসেবে রেখে RBI নোট ইস্যু করে। 

নোট ইস্যু করার জন্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক Minimum Reserve System চালু করেছে।

নোট ইস্যু করার জন্য সিকিউরিটি হিসেবে ১৯৫৭ সাল থেকে RBI ২০০ কোটি টাকার সোনা ও ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ সংরক্ষণ করে যার মধ্যে ১১৫ কোটি টাকা সোনা হিসেবে রাখতেই হবে।

 ব্যয় হ্রাস করতে ও উচ্চ মূল্যের কারেন্সি নোট ছাপানোর জন্য সাশ্রয় করার উদ্দেশ্যে ১৯৯৪ সালের নভেম্বর মাসে ১ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ হয়ে যায়।

২ টাকা ও ৫ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ হয় ১৯৯৫ সালে।

কয়েনেজ অ্যাক্ট ২০১১ অনুযায়ী পরবর্তী ১ টাকার নোটগুলি লিগ্যাল টেন্ডার হিসেবে বিবেচিত হবে।

 প্রসঙ্গত মুম্বাই, কলকাতা, হায়দ্রাবাদ ও নয়ডায় অবস্থিত টাঁকশালে কয়েন পিন্ট করা হয়।

২. সরকারের ব্যাংক

রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত ব্যাঙ্কিং কার্যাবলী ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক সম্পূর্ণ করে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের অবদান – খুবই উল্লেখযোগ্য ।

এই কার্যের জন্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক কোনোরকম পারিশ্রমিক অর্জন করে না।

সরকারি ঋণ সংক্রান্ত বিষয়টি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক তত্বাবধান করে এবং এর জন্য RBI একটি কমিশন চার্জ করে।

৩. ব্যাঙ্কার টু ব্যাঙ্ক

বাণিজ্যিক ব্যাংকের রিজার্ভ ( SLR ও CRR ) RBI দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। বাণিজ্যিক ব্যাংক গুলি প্রয়োজনে RBI – র থেকে ঋণ গ্রহণ করতে পারে। অর্থ ও ঋণের প্রধান উৎস হল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক। 

এইজন্য RBI কে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির ‘ Lander of the Last Resort ‘ বলা হয়।

৪. নিয়ন্ত্রক ও তত্ত্বাবধায়ক

ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যাক্ট ও RBI অ্যাক্ট দ্বারা সমস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকলাপ RBI নিয়ন্ত্রণ করে। অনেক NBFC কেও RBI নিয়ন্ত্রণ করে।নিয়ন্ত্রক ও তত্ত্বাবধায়ক দিক দিয়েও ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের অবদান খুবই উল্লেখযোগ্য ।

৫. ফরেন রিজার্ভ এর রক্ষাকর্তা

দেশের ফরেন রিজার্ভের সঠিক বিনিয়োগ ও যথাযথ ব্যবহারের দায়িত্ব ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। ফ্লোটিং এক্সচেঞ্জ রেট ও রুপি কনভার্টিবিলিটির সুবিধের জন্য ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেটের স্থায়ীত্ব বজায় রাখার দায়িত্ব RBI – র উপর বর্তায়। 

বহির্দেশীয় বাণিজ্যের প্রসারের উদ্দেশ্যে RBI ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেটকে নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন সাধন করে।

৬. আর্থিক নিয়ন্ত্রণ

এটি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ টুল। অর্থনীতিতে মোট অর্থের চাহিদা ও জোগানকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আর্থিক নীতির এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। 

 বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি যে ঋণ দেয় তাও RBI নিয়ন্ত্রণ করে। 

অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধনই এক্ষেত্রে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রধান উদ্দ্যোগ।

RBI – এর নিয়ন্ত্রক ক্ষমতা

১. নতুন ব্যাঙ্কের লাইসেন্স ইস্যু করা।

২. পেইড আপ ক্যাপিটাল ও রিজার্ভের নুন্যতম লিমিট ধার্য করা।

৩. ব্যাঙ্কের কার্যকলাপ নিরীক্ষণ করা।

৪. ব্যাঙ্কের জালিয়াতি তদন্ত করা।

৫. ব্যাঙ্কের সংযুক্তি করনের বিষয়টি তত্বাবধান করা।

৬. ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান / MD – র নিয়োগ / পদত্যাগ বিষয়টি দেখা।

ঋণ নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা

১. প্রাইরিটী সেক্টরের বৃদ্ধি প্রণোদিত করা।

২. ক্রেডিটের যথাযথ সঞ্চালন।

৩. মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ।

৪. অর্থনীতির সামগ্রিক বৃদ্ধি।

৫. মানি মার্কেট ও এক্সচেঞ্জ রেটে স্থায়িত্ব বজায় রাখা।

আর্থিক নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি

আর্থিক নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি দু – প্রকার – ১. রাশিগত ২. গুণগত

১. রাশিগত

অর্থনীতিতে মোট অর্থের হ্রাস – বৃদ্ধি ঘটানোর ক্ষেত্রে এইরুপ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের অবদান খুবই উল্লেখযোগ্য ।

ক .ব্যাঙ্ক রেট

এটিকে রেডিসকাউন্ট রেটও বলা হয়। এই রেটে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয়।

খ . ক্যাশ রিজার্ভ রিকোয়ারমেন্ট ( CRR )

 ১৯৬২ সাল থেকে শুরু করে CRR এর রেট পরিবর্তন করার ক্ষমতা ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ওপর ন্যস্ত হয়। 

 CRR সাধারণত মোট ডিমান্ড ও টাইম লায়াবিলিটির ৩% – ১৫% এর মধ্যে থাকে। RBI র CRR নির্ধারণের ক্ষমতা RBI Amendment Bill , ২০০৬ এ বর্ণিত আছে। 

বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় ক্যাশ RBI – র কাছে গচ্ছিত রাখতে হয় ‌। সেটি হল CRR ।

গ .স্ট্যাটুটরি লিক্যুইডিটি রেশিও ( SLR )

প্রতিটি বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ককে ক্যাশ , গোল্ড, সিকিউরিটি হিসেবে নির্দিষ্ট পরিমাণ Liquid Asset RBI – র কাছে গচ্ছিত রাখতে হয় যা SLR নামে পরিচিত। এটি কখনই মোট টাইম ও ডিমান্ড লায়াবিলিটির ৪০% বেশি ধার্য করা হয় না।

ঘ .ওপেন মার্কেট অপারেশন ( OMO )

ক্রেডিট কন্ট্রোল পদ্ধতি হিসেবে OMG – র গুরুত্ব ১৯৯১ সালের অর্থনৈতিক সংস্কারের পর বোঝা গেল, যখন ভারতে বিদেশী তহবিলের পরিমাণ প্রভূত পরিমাণে বেড়ে গিয়েছিল।

 যখন RBI মূলধন বাজারে G – Sec বিক্রি করে, সাধারণত মানুষদের কাছে লিক্যুইডিটি / Cash in hand কমে যায়, যেহেতু তাঁরা সিকিউরিটি গুলো ক্রয় করেন। ফলে অর্থনীতিতে অর্থের জোগান কমে ও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রিত হয়।

ঙ .রেপো রেট

RBI এটি ১৯৯২ সালে প্রচলন করেছিলেন। এই রেটে RBI সিকিউরিটির পরিবর্তে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে স্বল্প মেয়াদী ঋণ প্রদান করে। 

 রেপো রেট বাড়লে RBI – এর থেকে ঋণ গ্রহণ ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে। অপরদিকে, রেপো রেট কমালে RBI – র থেকে সুলভমূল্যে ঋণ পাওয়া যায়।

চ .রিভার্স রেপো রেট

১৯৯৬ সালের নভেম্বর মাসে এর প্রচলন হয়েছিল। রিভার্স রেপো রেট অর্থনীতিতে অর্থের জোগান হ্রাস করে। এই রেটে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি তাদের অতিরিক্ত ফাণ্ড RBI – র কাছে গচ্ছিত রাখে। 

রিভার্স রেপো রেট বাড়ার অর্থ হল RBI বেশি সুদে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির থেকে ঋণ গ্রহণ করতে চায়।

সুতরাং বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি বেশি অর্থ RBI – এর কাছে গচ্ছিত রাখতে হয়। 

২. গুণগত

ক .Margin Requirement

এটি হল ব্যাঙ্কে সংরক্ষিত মোট সিকিউরিটির পরিমাণ ও RBI থেকে ব্যাঙ্কের মোট ঋণের পার্থক্য।

খ . Consumer Credit Regulations

পেমেন্ট ও ইনস্টলমেন্ট বিষয়ক নিয়মনীতি।

গ . Credit Rationing

বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির ঋণ নীতি RBI দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।

ঘ .Credit Suasion

RBI বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে আর্থিক পরিষেবা বিষয়ে বিভিন্ন উপদেশ ও সুপারিশ প্রদান করে।

অন্যান্য ব্যাঙ্কিং কার্যকলাপ

অন্যান্য ব্যাঙ্কিং কার্যকলাপের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হল Marginal Standing Facility ( MSF ) । এটি ২০১১ সালে চালু হয়েছিল। বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির এটি একটি স্বল্পমেয়াদি ঋণ নীতি। 

G – sec এর পরিবর্তে RBI – র কাছ থেকে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি রাতারাতি যে হারে ঋণগ্রহণ করে তা হল MSF । টাকার অত্যাধিক ঘাটতির সময় ব্যাঙ্কগুলি MSF এর দ্বারস্থ হতে পারে। 

রাতারাতি ঋণ সংক্রান্ত সুদের হারে যে পরিবর্তন হয় তা MSF দ্বারা দূর করা যায়।

আর্থিক বাজারে অস্থিরতা হ্রাস করে MSF আর্থিক নীতিকে সঠিকভাবে প্রণয়ন করে। 

Net Demand and Time Liability ( NDTL ) – র ২% পর্যন্ত ব্যাঙ্ক MSF এর মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করতে পারে।

মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ

মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের অবদান খুবই উল্লেখযোগ্য । RBI মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করে অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে তরান্বিত করে। RBI যদি G – sec বিক্রি করে, রেপো রেট বাড়িয়ে, CRR বাড়িয়ে অর্থনীতিতে অর্থের জোগান কমায়, অর্থনীতিতে দ্রব্য ও পরিষেবার মোট চাহিদা হ্রাস পায় এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রিত হয়।

কিন্তু যদি দ্রব্য ও পরিষেবার জোগানের ক্ষেত্রে শুরুতেই ঘাটতি দেখা দিলে RBI মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে না। 

অনুরুপে, অর্থনীতিতে অর্থের জোগান বৃদ্ধির অর্থ হল পরিবারের কাছে ভোগব্যয়ের জন্য বেশি অর্থ আছে, ফলে শিল্প বিনিয়োগের পথও প্রশস্ত হয় যা অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বৃদ্ধির সহায়ক।

সুতরাং এক্ষেত্রে RBI – র মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ব্যাহত করতে পারে, অপরদিকে এমতাবস্থায় অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে সহায়ক ব্যবস্থা মুদ্রাস্ফীতির কারণ হতে পারে।


আরও পড়ুন – ভারতের জাতীয় জিনিসের নাম

আরও পড়ুন – ভারতের জাতীয় পতাকা, প্রতীক, সংগীত সম্পর্কে জানুন 

আশা করি আপনি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের অবদান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

আশা করি এই পোস্টটি আপনার উপকারে এসেছে।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই পোস্টটি পড়ার জন্য।

পোস্টটি উপকারে আসলে শেয়ার করতে ভুলবেন না ।

 


পোস্টটি শেয়ার করুন

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *