দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা|Daito Sason ব্যবস্থা
আপনি কি দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা – Daito Sason ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী
যদি হ্যাঁ , আপনি সঠিক পোস্টে এসেছেন।
পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
আমার দ্বৈত শাসনের পোস্টটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য দারুন নোট।
দ্বৈত শাসন বলতে কি বোঝায়
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দেওয়ানি লাভের মাধ্যমে বাংলার রাজস্ব আদায় করে এবং অন্যদিকে প্রশাসনিক ও সামরিক ক্ষমতার অধিকার লাভ করে। ফলে কোম্পানি বাংলার শাসনে প্রকৃত ক্ষমতার অধিকারী হয় আর নবাব নামে একমাত্র শাসক থাকে।
তাই একই অঞ্চলের এই দুই ধরনের শাসনকাঠামোকে দ্বৈত শাসন বলা হয়।
দ্বৈত শাসন প্রবর্তনের কারণ
প্রথমত
যদি কোম্পানি সরাসরি ক্ষমতায় থাকতো তাহলে অন্যান্য ইউরোপীয় বাণিজ্য গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যেত।
দ্বিতীয়ত
বাংলার রাজস্ব সম্পর্কে ইংরেজদের কর্মচারীগণ পারদর্শী ছিল না।
তৃতীয়ত
প্রশাসনিক কাজ চালানোর জন্য ব্রিটিশ কর্মচারীগণ কম ছিল প্রয়োজনের তুলনায়।
দ্বৈত শাসনের ফলাফল
প্রথমত
দ্বৈত শাসনের ফলে রাজ্যে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
দ্বিতীয়ত
দ্বৈত শাসনের ফলে কোম্পানি বিনাশুল্কে বাণিজ্য করার ফলে দেশীয় শিল্প বাণিজ্য ধ্বংস হয়।
তৃতীয়ত
দ্বৈত শাসনের ফলে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়ে।
চতুর্থত
দ্বৈত শাসনের ফলে ইংরেজ তত্ত্বাবধায়করা ব্যক্তিগত ব্যবসা বানিজ্যে লিপ্ত হয়ে পড়ে ও দুর্নীতি বৃদ্ধি পায়।
পঞ্চমত
দ্বৈত শাসনের ফলে বাংলাতে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর দেখা দেয় ফলে বাংলার এক তৃতীয়াংশ মানুষ অনাহারে মারা যায়।
আরও পড়ুন – মুঘল যুগের সাহিত্যের বিবরণ
আরও পড়ুন – হর্ষঙ্ক বংশ, শিশুনাগ বংশ, নন্দ বংশ, মৌর্য বংশ
আশা করি আপনি এই পোস্টটি থেকে দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা – Daito Sason ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দ্বৈত শাসন সম্পর্কিত ব্যবস্থার পোস্টটি পড়ার জন্য।
উপকারে আসলে পোস্টটি শেয়ার করার অনুরোধ রইলো