নিরক্ষরতা দূরীকরণে ছাত্র সমাজের ভূমিকা রচনা

নিরক্ষরতা দূরীকরণে ছাত্র সমাজের ভূমিকা রচনা

পোস্টটি শেয়ার করুন

আপনি কি অনলাইনে নিরক্ষরতা দূরীকরণে ছাত্র সমাজের ভূমিকা রচনা খুঁজছেন,

যদি তাই হয়, 

আপনি সঠিক পোস্টে এসেছেন।

আমি এই পোস্টটিতে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি – নিরক্ষরতা দূরীকরণ রচনা,নিরক্ষরতা দূরীকরণের উপায়, নিরক্ষরতা দূরীকরণ অনুচ্ছেদ রচনা ইত্যাদি।

আমার এই পোস্টটি নিরক্ষরতা দূরীকরণে ছাত্র সমাজের ভূমিকা রচনার দারুন নোট।  আপনি পরীক্ষায় যদি এই রচনাটি লিখতে পারেন তাহলে আপনি ফুল মার্কস পাবেন।

পোস্টটিকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইল।

ভূমিকা

আমরা জানি অক্ষর জ্ঞান যার নেই সেই হল নিরক্ষর। যার অক্ষর জ্ঞান নেই সে তো চোখ থাকতেও অন্ধ প্রতি পদক্ষেপে যাই পিছিয়ে।

এই নিরক্ষরতা দূর করতে হলে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে আমাদের ছাত্র সমাজকে।

নিরক্ষরতার পিছনে স্বার্থবাদী মানুষ

স্বার্থপর মানুষ স্বার্থসিদ্ধির জন্য। অনেক মানুষ আছে যারা নিজে ভোগ সুখে থাকার জন্য অপরকে স্বাক্ষর হতে দেয়নি।

তারা শোষনের হাত কায়েম করার জন্য শিক্ষাকে করেছে সীমাবদ্ধ তার ফলে অধিকাংশ মানুষের কাছে নেমে এসেছে নিরক্ষরতার অভিশাপ।

আরও পড়ুন ক্লিক করে – বাংলা অনুচ্ছেদ লেখার নিয়ম

ডাউনলোড পিডিএফ

স্বাধীন ভারতে নিরক্ষরতার স্বরুপ

দেশ স্বাধীন হয়েছে প্রায় অর্ধশতাব্দীকাল। জনসংখ্যার দিক থেকে আমরা পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ।

ভারতবর্ষে আজ প্রায় 130 কোটি জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় 40 কোটি মানুষ এখনো অজ্ঞতার অন্ধকারে ডুবে রয়েছে। আমাদের দেশে স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা অনেক বেড়েছে এর তুলনায় সাক্ষরতা মানুষের সংখ্যা বাড়েনি। ভোটপত্রে প্রতীক চিহ্ন ছাড়া এ দেশে যেমন ভোট হয় না তেমনি দেখা যাচ্ছে অফিস-আদালতে এখনো টিপছাপ প্রচলিত রয়েছে।

সাক্ষরতার দরকার

গণতন্ত্রের সাফল্যের জন্য আমাদের উচিত সারা দেশজুড়ে নিরক্ষরতা দূর করা কারণ এখন নবযুগ এসেছে চিন্তাভাবনায় বিজ্ঞানের বিকাশ ঘটেছে।

আমাদের দেশের কৃষকরা নিরক্ষরতা ডুবে রয়েছে। তারা মান্ধাতা আমলের পদ্ধতিকে অনুসরণ করে চলেছে। তাদের ভাবনা চিন্তার মধ্যে কুসংস্কার ছেয়ে গেছে।

তাই আমাদের ছাত্রসমাজের উচিত এই সমস্ত কৃষকদের এবং যারা মান্ধাতা আমলের ও কুসংস্কারে আচ্ছন্ন তাদেরকে বের করে আনা নতুন যুগে।

সাক্ষরতার প্রথম ধাপ

নিরক্ষরতার অন্ধকারকে দূর করতে হলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে হবে। এজন্য চাই গণশিক্ষা, সার্বজনীন শিক্ষা।

প্রথম কথা হল অক্ষরজ্ঞান। তাই রবীন্দ্রনাথ বলেছেন – লেখাপড়া শেখায় সেই রাস্তা। যেমন একটি প্রদীপ থেকে অনেক প্রদীপ জ্বালানো যায় তেমনি আমরা যদি একজনকে শিক্ষিত করতে পারি অথবা তার নিরক্ষরতা দূর করতে পারি ফলে একজনের থেকে আরও অনেকে শিক্ষিত হতে পারবে ও আমাদের দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূর হবে।

আমাদের দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূর করতে প্রত্যেক শিক্ষিত ব্যক্তি ও সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।

দেশের সকল নিরক্ষর কে স্বাক্ষর করার জন্য বিভিন্ন স্থানে নৈশ্য বিদ্যালয়, বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র, পাঠাগার প্রতিষ্ঠা, পাঠ্যবই বিতরণ ইত্যাদি কর্তব্য গ্রহণ করতে হবে।

নিরক্ষরতা এবং ছাত্রদের কর্তব্য

আমাদের দেশের সামাজিক সংকট মোচনে ছাত্রসমাজ খুব ভালো ভূমিকা গ্রহণ করে এসেছে।

ছাত্ররাই পারে মানুষদেরকে নিরক্ষরতার অন্ধকার থেকে সাক্ষরতার আলোয় নিয়ে আসতে।

তারা অবসর সময়ে বাড়ির এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে যারা নিরক্ষর এবং সমাজের মধ্যে যারা পিছিয়ে পড়েছে তাদের মধ্যে সাক্ষরতার আলো জ্বেলে দিতে পারে।

সামাজিক দায়িত্ব ও নৈতিক কর্তব্য পালনের জন্য ছাত্ররা দীর্ঘ ছুটির সময়ে মানুষের মধ্যে নিরক্ষরতা দূর করার জন্য তারা প্রচার অভিযান করতে পারে অথবা ক্যাম্প করে মানুষজনকে এ কাজে উৎসাহী করতে পারে।

প্রয়োজনে ছাত্ররা নৈশ্য বিদ্যালয় করতে পারে, তারা সংবাদপত্র পাঠ করে শুনিয়ে নিরক্ষরদের মনে প্রেরণা জাগিয়ে তুলতে পারে।

নিরক্ষরদের মধ্যে সাক্ষরতার আলো জ্বালানোর জন্য ছাত্ররা রেডিও-টিভি, ইন্টারনেট ইত্যাদিকে ব্যবহার করতে পারে। নিরক্ষর কে স্বাক্ষর করে তাদেরকে সমাজ সচেতন করে তুলতে হবে।

উপসংহার

নিরক্ষর মুক্ত সমাজ আজ আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।

এই মহান কর্মযজ্ঞে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে অর্থাৎ সকল শিক্ষিত মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে এবং যোগ দিতে হবে আমাদের সকলকেই সাক্ষরতার আন্দোলনের কারণ স্বাক্ষর মানুষ জয় করবে ক্ষুধা, ছিনিয়ে আনবে শান্তি।

নিরক্ষর মানুষকে প্রকৃত মানুষ করার জন্য তাই ছাত্র সমাজ থেকে শুরু করে দেশের সকল শিক্ষিত মানুষকে দায়িত্ব নিয়ে বলতে হবে –  ” নিরক্ষর মানুষের হাতে ধরিয়ে দাও বই, সেই হবে তার জীবন যুদ্ধের হাতিয়ার “।


আরও পড়ুন ক্লিক করে –

সাম্প্রদায়িকতা ও ছাত্রসমাজ রচনা

বিজ্ঞানের অপব্যবহার রচনা

একটি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা রচনা


আশা করি এই পোস্টটি থেকে আপনি –   নিরক্ষরতা দূরীকরণে ছাত্র সমাজের ভূমিকা রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

আশা করি নিরক্ষরতা দূরীকরণ রচনার এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে।

আপনাকে জানাই অনেক ধন্যবাদ রচনার এই পোস্টটি পড়ার জন্য।

এই পোস্টটি আপনার উপকারে আসলে বন্ধুবান্ধবের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।


পোস্টটি শেয়ার করুন

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *